Bangladesh
পুলিশ হত্যা মামলার আসামী আরাভ খান ৩০ বছর বয়সেই ৫ দেশের নাগরিক!
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৭ মার্চ ২০২৩ : নাম আরাভ খান। অজ-পাড়াগাঁয়ে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বয়স মাত্র ৩০ বছর। তাতে কী। ইতিমেধ্য তিনি অর্জন করেছেন ৫ দেশের নাগরিকত্ব। তার পরিচিতি এখন দুবাইয়ের সোনা ব্যবসায়ী হিসেবে। হঠাৎ করে তার আর একটি পরিচয় প্রকাশ পাওয়া মাত্র পুলিশ গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে। তাদের ধারণা এই আরভ খানই হচ্ছেন পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। দুবাইয়ে তার জুয়েলারি দোকান উদ্বোধনে ক্রিকট তারকা সাকিব আল হাসানকে আমন্ত্রণ জানানোর পর হঠাৎ করে তার আসল পরিচয় ফাঁস হয়ে পড়ে।
জানা গেছে, ভিন্ন আটটি নামে অন্তত পাঁচ দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে এই জুয়েলারি ব্যবসায়ীর। গোয়েন্দা পুলিশের ধারণা, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামি এই আরাভ খানই পলাতক রবিউল ইসলাম।
আরাভ নামে এই ব্যক্তি বাংলাদেশ, ভারত ও দুবাইয়ে ব্যাপক পরিচিত। ঢাকায় পুলিশ হত্যা মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে চলে যান কলকাতায়। পাল্টে ফেলেন নিজের নাম। যেখানে গেছেন সেখানেই নতুন নামে পরিচিত হয়েছেন। কখনো তিনি আপন আহমেদ, কখনো সোহাগ, কখনো রাশেদুল ইসলাম, আপন মোল্লা, হৃদি শেখ, হৃদয়, রবিউল ইসলাম ও কখনোবা আরাভ খান।
দুবাইয়ে সাকিবের সঙ্গে আরাভ খান। ছবি: সংগৃহিত
শুধু নাম পরিবর্তন করেননি। নামের সঙ্গে নাগরিকত্বও বদলেছেন। শুধু আরাভ আর রবিউল নয়, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আশুতিয়া গ্রাম কিংবা কলকাতাও নয় তার জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়েছে বাগেরহাটেও। এখন পর্যন্ত জানা গেছে, আট নামে বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই), কানাডা, ফ্রান্স এই পাঁচ দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে তার। এই পাঁচ দেশই যেন তাকে আইনের আওতায় আনতে সহায়তা করে সেজন্য তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ জারি করতে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট। এরইমধ্যে রেড অ্যালার্ট জারি করতে পুলিশ সদরদপ্তর উদ্যোগ নিয়েছে।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে বনানীতে খুন হন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান। এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ জুলাই মামুনের ভাই ঢাকার বনানী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এই হত্যা মামলার ৬ নম্বর পলাতক আসামি আরাভ খান।