Bangladesh
জাপানে যাবে বাংলাদেশের আলু
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২৩ : বাংলাদেশে উৎপাদিত ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলু আমদানির আগ্রহ দেখিয়েছে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার জাপানের টোকিওতে ওয়েস্টিন হোটেলে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান জাপানি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা সিয়া খাদো। তাদের সঙ্গে ছিলেন এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এফ এইচ আনসারী।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বছরে ১ কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদন হয়। চাহিদা আছে ৬০-৭০ লাখ টনের মতো। দেশে বর্তমানে যেসব জাতের আলু উৎপাদিত হচ্ছে, তার চাহিদা বিদেশে অনেক কম। সেজন্য রপ্তানিযোগ্য ও শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলুর জাত সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকারিভাবে বিএডিসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে, সেগুলো কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আলুকে আমরা অনিয়ন্ত্রিত ফসল ঘোষণা করেছিলাম, যাতে বেসরকারিভাবে উন্নত জাত আনা সহজ হয়। এ ঘোষণার পর বেসরকারিভাবে আলুর অনেক উন্নত জাত দেশে এসেছে, নিবন্ধিত হয়েছে। রপ্তানিযোগ্য এসব জাত চাষের ফলে আলু রপ্তানির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলুর নমুনা নিয়ে জাপানের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাপানি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা সিয়া খাদো। তিনি কৃষিমন্ত্রীকে জানান, এ জাতের আলু মানসম্পন্ন ও সুস্বাদু।
আলুকে অনিয়ন্ত্রিত ফসল ঘোষণা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর প্রেক্ষাপটে এসিআই সিড ২০২০ সালে এসিআই আলু-১০ (ভ্যালেন্সিয়া) নামক আলুর বীজ নিবন্ধন পায়, যা নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানি করা হয়। জাতটিতে প্রায় ২১ শতাংশ ড্রাই ম্যাটার আছে। তাই, এটি শিল্পে ব্যবহার উপযোগী।