Bangladesh
রাষ্ট্রপতি বদ্বীপ পরিকল্পনা- ২১০০ বাস্তবায়নে ডাচ সহায়তা চাইলেন
রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদিন জানান, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা- ২১০০ বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডের বিশেষায়িত দক্ষতা, বিশেষ করে নদী-শাসনে ডাচ অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায়।
রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবনে ডাচ রানীকে স্বাগত জানিয়ে মো. হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের মধ্যকার সম্পর্ক বর্তমানে খুবই চমৎকার এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এসব মিয়ানমারের নাগরিকের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের নিজ বাসভূমিতে ফেরা নিশ্চিত করতে নেদারল্যান্ডসহ গোটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১০ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও নারী ক্ষমতায়নের কথা তুলে ধরেন। জি ২০ গ্লোবাল পার্টনারশিপ পর ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লোজন(জিপিএফআই)-এর সাম্মানিক পৃষ্ঠপোষক রানী ম্যাক্সিমা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের, বিশেষ করে বাল্য বিবাহ রোধে গৃহীত সরকারি পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
রানী ম্যাক্সিমা সাম্প্র্রতিক সময়ে নারী ক্ষমতায়ন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অনন্য সাধারণ উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
রানী ম্যাক্সিমা বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং বিশেষ করে এখানকার আর্থিক খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষতের জন্য চারদিনের সরকারি সফরে বুধবার ঢাকায় আসেন।
বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হেন্ড্রিকাস জি. জে. (হ্যারি) ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো সাক্ষাৎকালে রানীর সঙ্গে ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়–য়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম শামীম-উজ-জামান এবং বঙ্গভবন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।