Bangladesh

বিচারপতি সঙ্কট নিরসনে রাষ্ট্রপতির নির্দেশের অপেক্ষা
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১: রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ থেকে শুরু করে বিচারিক (নিম্ন) আদালত- সবখানেই বাড়ছে মামলার সংখ্যা। প্রকট হচ্ছে মামলা জট। কিন্তু বছরের পর বছর মামলা বাড়লেও সে অনুপাতে বাড়েনি বিচারক। ফলে বহু মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি ঝুলে আছে। অবসরে যাওয়া বিচারকদের শূন্যস্থানে সময়মতো নতুন বিচারক নিয়োগ না পাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও বিচারপতির সঙ্কট হচ্ছে প্রকট। বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে মোট বিচারপতির সংখ্যা পাঁচজন। অথচ একযুগ আগে ২০০৯ সালেও আপিল বিভাগে এ সংখ্যা ছিল ১১ জন।
বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীরা বলছেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত থেকে শুরু করে নিম্ন আদালত, সবখানে যে হারে মামলার সংখ্যা বাড়ছে, সে তুলনায় আদালতগুলোতে বিচারকের সংখ্যা বাড়ছে না। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিপরীত চিত্র। এ অবস্থায় মামলা জট কমাতে ও বিচার কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক নিয়োগের বিষয়টিতে এখনই সর্বোচ্চ জোর দেওয়া জরুরি।
মহামারি করোনাভাইরাসের অব্যাহত সংক্রমণ মোকাবিলায় সারা দেশে সরকারঘোষিত লকডাউনের কারণে দেশের সব আদালতে বিচারকাজে গতি কমেছে। এতে ক্রমে কমছে মামলা নিষ্পত্তির হার।
অথচ বিগত বছরগুলোতে আদালতে মামলার সংখ্যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে। আর এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নিয়মিত আদালত চালু রাখার দাবি তুলেছেন আইনজীবীরা। একই সঙ্গে মামলার জট কমাতে বহুমুখী উদ্যোগ, বিচারক সংকট ও বিচার-সংক্রান্ত অবকাঠামো উন্নয়নেও তাগিদ দিচ্ছেন বিচার সংশ্লিষ্টরা।
আদালতের কর্মঘণ্টা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান বিচারপতির বরাবর আবেদন করে সুপ্রিম কোর্ট বার। গত ১৯ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে করা এক আবেদনে করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২০২১ সালের সব অবকাশকালীন/ঐচ্ছিক ছুটি বাতিল ও পরবর্তী বছরগুলোতে ছুটি কমিয়ে আনার অনুরোধ জানানো হয়।