Bangladesh
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে দলীয় নেতা কর্মীদের প্রতি আহবান প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২২ অক্টোবর ২০২১: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক দেশ। এ দেশে সব ধর্মের নাগরিকদের অন্যের ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। তিনি তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি শান্তি সম্মিীলন, শান্তি মিছিল এবং শান্তি সভা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। প্রত্যেকটি এলাকায় আমাদের নেতা-কর্মীদের নজরদারি বাড়াতে হবে এবং শান্তি সম্মিলন, শান্তি মিছিল, শান্তি সভা করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে কোন রকমের সংঘাত দেখা না দেয়। কারণ, এই মাটিতে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলেই যেন ভালভাবে বাঁচতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বৃহষ্পতিবার অপরাহ্নে কুমিল্লা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত ‘অফিস ভবন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে একথা বলেন। তিনি গণভবণ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
করোনার শিক্ষা ‘যতই সম্পদ হোক দুঃসময়ে তা কাজে লাগে না’, উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, 'মানুষ মরে গেলে এই সম্পদ পড়ে থাকবে তা কোন কাজেই আসবেনা। কাজেই যত বেশি দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করতে পারবো সেটাই জাতির পিতার এবং ইসলামের শিক্ষা। আর আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাই হয়েছে মানুষের সেবার জন্য, সে কথাও মনে রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে জাতির পিতার আদর্শ নিয়েই চলতে হবে।'
তাঁর সরকার দেশের বেদে শ্রেণী, তৃতীয় লিঙ্গ এমনকি কুষ্ঠরোগীদের জন্যও ঘর-বাড়ি করে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি যেভাবে মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকেও মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখে তাঁদের সেবা করতে হবে। জাতির পিতা ডাকে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ কাঁধে অস্ত্র তুলে নিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে। কাজেই এই স্বাধীনতাকে কোনভাবে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবেনা।'
তিনি বলেন, 'কুমিল্লার যে ঘটনাটি ঘটে গেছে সেটা সত্যই খুব দুঃখজনক। কারণ, মানব ধর্মকে সম্মান করাই ইসলামের শিক্ষা। কিন্তু নিজের ধর্ম পালনের অধিকার যেমন সকলের রয়েছে তেমনি অন্যের ধর্মকেও কেউ হেয় করতে পারে না। এটা ইসলাম শিক্ষা দেয়না। আর নিজের ধর্মকে সম্মান করার সঙ্গে সঙ্গে অন্যের ধর্মকেও সম্মান করতে হয়। আর অন্য ধর্মকে হেয় করা হলে নিজের ধর্মকেই অসম্মান করা হয়ে যায়।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'কুমিল্লার ঘটনা বিশ্লেষণ করলে আমরা সেটাই দেখবো। আমাদের পবিত্র কোরআন শরীফকে অবমাননা করেছে অন্যের ধর্মকে অসম্মান করতে গিয়ে। এটাই সবচেয়ে দুঃখজনক।'