Bangladesh
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাপানের সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা,৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২: বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য জাপানের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা এ বাস্তুচ্যুত (রোহিঙ্গা) জনগণকে মিয়ানমারে তাদের পৈত্রিক বাড়িতে দ্রুত স্বেচ্ছায়, নিরাপদ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য জাপানের সমর্থন চাই। বিশ্ব শান্তি, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ ও জাপান বিশ্বস্ত অংশীদার এবং শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে উভয়েই সবসময় একে অপরকে সমর্থন করে কাজ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে জাপানের স্বীকৃতির পর থেকে দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। ঢাকায় আবাসিক কূটনৈতিক মিশন খোলার জন্য প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে জাপান ছিল। আমাদের জনগণ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপান এবং সে দেশের জনগণ, বিশেষ করে স্কুল-ছাত্রদের মূল্যবান সমর্থন ও অবদানকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। তিনি বলেন, পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধা, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাই বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি।
অন্যদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে জাপানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাসে শক্ত ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন।
আগামীকাল ১০ ফেব্রুয়ারি কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকায় জাপান দূতাবাস ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বক্তব্য রাখেন ।