Bangladesh
বৃষ্টি আর যানজটে দিশেহারা রাজধানীবাসী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২: একটানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে গরম কমে জনমনে স্বস্তি এলেও ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। বুধবার সকাল থেকে রাজধানীজুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি, কোথাও মুষলধারে। দুপুর নাগাদ চলে এমন বৃষ্টি। এতে নগরের কোনো কোনো সড়কে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এর ওপর রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
সড়কে গাড়ির চাপ ও যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। তারা জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে পুরো শহরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে বিমানবন্দর সড়ক তথা মহাখালী থেকে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর, মালিবাগ থেকে খিলক্ষেত, মহাখালী থেকে বিজয় সরণি, মিরপুর-১০ থেকে বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যানজটের মাত্রা ছিল বেশি।
বেলা ১১টায় মিরপুরের আনসার ক্যাম্প থেকে বাড্ডার অফিসের উদ্দেশে বের হন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী হারুন রশীদ। দুপুর আড়াইটায় তিনি আটকে ছিলেন কুড়িল বিশ্বরোডের ফ্লাইওভারের আগে বিমানবন্দর সড়কে। এরই মধ্যে সড়কে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পার করলেও তিনি বলতে পারেননি কখন পৌঁছাবেন অফিসে।
উত্তরা থেকে শাহবাগে আসতে সকাল ৭টায় বাসে ওঠেন আওয়াল হোসেন। দুপুর ১২টায় শাহবাগে এসে পৌঁছান। তিনি বলেন, এক ঘণ্টার রাস্তা আসতে সময় লেগেছে পাঁচ ঘণ্টা। রাস্তায় তীব্র যানজট। গাড়ি চলেই না। মঙ্গলবারও এমন যানজট ছিল। প্রতিদিনই এমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
মঙ্গলবারের মতো আজও গাজীপুরের টঙ্গী-চেরাগআলী এলাকায় যানচলাচল প্রায় স্থবির ছিল। সেই যানজট দেখা যায় উত্তরা-বিমানবন্দর এলাকায়ও। রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে বাড্ডা পর্যন্ত ছিল তীব্র যানজট। বিমানবন্দর থেকে বনানী-মহাখালী হয়ে তেজগাঁওসহ ফার্মগেট পর্যন্তও ছিল তীব্র যানজট। গাজীপুরের টঙ্গী-চেরাগআলী এলাকায় যানচলাচল স্থবির হওয়ার কারণে রাজধানীর অন্যান্য এলাকাও ভয়াবহ যানজটের কবলে পড়ে। ফলে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন বৃদ্ধ ও শিশুরা।
এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে যানচলাচল ধীরগতি ছিল। এছাড়া ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে যান চলাচল বেশ ধীরগতি থাকায় রাজধানীতে যানজট তৈরি হয়। বিমানবন্দর এলাকায় তীব্র যানজটের কারণে সব রাস্তায় গাড়ি ধীরগতিতে চলেছে।