Bangladesh
রাজধানীতে যানজটে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১০ জুন ২০২১: দুপুর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরেছে রাজধানীতে। সকালে কিছু সময়ের জন্য দেখা মিলেছিল রোদের। তারপর মেঘে ঢাকা পড়ে সূর্য। দুপুর ১২টার পর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে আকাশ কালো হয়ে আসে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জমে পানি, সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। দুপুরের পর বৃষ্টি না হলেও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজটের কারণে ঘরমুখী মানুষ পড়েছেন ভোগান্তিতে।
বুধবার (৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর কিছু কিছু সড়কে দেখা দেয় তীব্র যানজট। আবার কোনো কোনো সড়কে বাসই ছিল না। একদিকে যানজট, অন্যদিকে গণপরিবহন সঙ্কটে নাকাল হতে হয় ঘরমুখী মানুষকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় মাথার ওপর ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি।
আটকে পড়া অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে পারছিলেন না। সব ধরনের অফিস-আদালত খোলা থাকা সত্ত্বেও গণপরিবহনগুলোতে অর্ধেক যাত্রী নেয়ার সরকারি নির্দেশনা থাকায় কর্মমুখী মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিকেলের পর সড়কে বেশিরভাগ বাসের দরজাই ছিল বন্ধ, মাঝপথে যাত্রী তুলছিল না কোনো বাস। ফলে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে। বাধ্য হয়েই কেউ রিকশায় কেউবা হেঁটেই বাসার দিকে রওনা হন।
রাজধানীর আসাদগেট, ধানমন্ডি-২৭, ধানমন্ডি-৩২, পান্থপথ সিগন্যাল, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, মালিবাগ, মৌচাক, তেজগাঁও, কাকরাইল, শান্তিনগর, পল্টন, গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকায় তীব্র থেকে তীব্রতর যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে, রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাড্ডা পর্যন্ত লম্বা যানজট দেখা গেছে। দীর্ঘ যানজট ছিল মহাখালী থেকে বনানীর সড়কেও। আবার মহাখালী ফ্লাইওভার পার হয়ে জাহাঙ্গীর গেট থেকে বিজয় সরণি সিগন্যাল পর্যন্ত ছিল যানবাহনের দীর্ঘ সারি। মগবাজার, উত্তরা, মিরপুরসহ বেশকিছু এলাকার রাস্তায় ছিল না পর্যাপ্ত গণপরিবহন।
এদিকে, বুধবার সকাল ৯টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঢাকাসহ দেশের সবগুলো বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে আজ দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।