Bangladesh
অধ্যাপক তাহের হত্যাকারীদের ফাঁসির জন্য প্রস্তুত রাজশাহী কারাগার
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৫ জুলাই ২০২৩: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই খুনি অধ্যাপক এস তাহের আহমেদের ফাঁসি কার্যকর করতে প্রস্তুত রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সদস্যরা এরই মধ্যে কারাগারে তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই মিজানুর রহমান জানান, রোববার কারা কর্তৃপক্ষ তাদের ও মহিউদ্দিনের পরিবারকে দুই বন্দির সঙ্গে দেখা করার জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন বিচারাধীন থাকায় আমরা জেলে যাইনি। জাহাঙ্গীরের ফাঁসির রায় বাতিলের লিভ টু আপিল খারিজ হওয়ায় আমরা আজ (মঙ্গলবার) তাদের সঙ্গে দেখা করেছি।
মিয়া মহিউদ্দিনও শেষবারের মতো তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন জানিয়ে সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে কারাগারের অভ্যন্তরে জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, ডিআইজি (প্রিজন) এবং কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করেন।
তবে কারা কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের বিষয়ে কিছু জানায়নি।
এর আগে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে করা রায় বাতিল চেয়ে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এই ঘটনা এখন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে কোনও বাধা দেয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ এবং আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী।
গত ৩ মে রিভিউ আবেদন খারিজ করে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্ট।
২০২২ সালের ৫ এপ্রিল এই মামলায় দু'জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
গত ২ মার্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ তিনজনের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমের আত্মীয় নাজমুল আলম ও আবদুস সালাম।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজের দুই দিন পর অধ্যাপক তাহেরের লাশ তার বাসার পাশের একটি ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় তার ছেলে সানজিদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং রাবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহীসহ দুজনকে বেকসুর খালাস দেন।
২০১৩ সালের ১৩ মে হাইকোর্ট মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও সালাম ও নাজমুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ওই আদেশের পর মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর ও সালাম হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।