Bangladesh
রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া
হুন্ডি প্রতিরোধে কড়াকড়ি ও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে নানা উদ্যোগে বৈধ পথে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছবে মধ্যপ্রাচ্যের ৭টি দেশ থেকে ৯৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স। একই সঙ্গে মোট রেমিট্যান্সের ৫৯ শতাংশই এসেছে আরবের এ দেশগুলো থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গেল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে এক হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক ৯৬ শতাংশই এসেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। ওই সব দেশে থাকা প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৯৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৩ শতাংশ বা ১১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ৮৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। প্রবাসী আয় পাঠানোর শীর্ষে থাকা ১০ দেশের মধ্যে ৬টি হলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দেশভিত্তিক প্রতিবেদনে বলা হয়, বরাবরের মতো গেল অর্থবছরেও সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে। দেশটিতে থাকা প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৩১১ কোটি ডলার। যা মোট আহরিত রেমিট্যান্সের প্রায় ১৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে অন্য দেশগুলো হচ্ছেÑ আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, ইতালি ও বাহরাইন।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের দ্বিতীয় শীর্ষে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫৪ কোটি ডলার। তৃতীয় দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮৪ কোটি ২৮ লাখ ডলার। চতুর্থে থাকা কুয়েত থেকে এসেছে ১৪৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে পঠিয়েছে ১৭৫ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। মালয়েশিয়া থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। ওমান থেকে এসেছে ১০৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, কাতার থেকে ১০২ কোটি ৩৯ লাখ ডলার, ইণালি থেকে ৭৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলার এবং বাহরাইন থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৭ কোটি ডলার।