Bangladesh
জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা প্রস্তাব গৃহীত
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৮ নভেম্বর ২০২২ : জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর এ বছরের প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, বুধবার অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথভাবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। ১০৯টি রাষ্ট্র প্রস্তাবটির সহ-উত্থাপক। ২০১৭ সালের পর, এই প্রথম জাতিসংঘের কোন প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নিল সর্বোচ্চ সংখ্যক রাষ্ট্র।
প্রস্তাবটিতে প্রাথমিকভাবে মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করা হয়। এতে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ বের করে, রোহিঙ্গারা যেন তাদের নিজভূমি মিয়ানমারে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও সম্মানের সাথে ফিরে যেতে পারে- সেজন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানানো হয়।
প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার সময় বাংলাদেশের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ঝুলে থাকায়, তারা শরণার্থী শিবিরে বাস করছে। তাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতি পাওয়া উচিত। মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় পর্যাপ্ত তহবিল প্রয়োজন।’
বিবৃতিতে তিনি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা উপস্থিতি দীর্ঘায়িত না করতে এই গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার ইস্যুটি উত্থাপনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়ায় ওআইসি ও ইইউ’র প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মানবিক বিবেচনায় নিজ ভূমি থেকে বাস্তুুচ্যূত রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় প্রদান করেছি। তাদেরকে মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে।’
প্রস্তাবটিতে বাংলাদেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করা হয়। এতে বাংলাদেশের মানবিক উদ্যোগ এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আইসিসি, আইআইএমএম ও অন্যান্য মেকানিজমের সাথে অব্যাহত সহযোগিতাকে স্বাধুবাদ জানানো হয়। এতে দায়িত্বশীল ও দায় ভাগাভাগির চেতনা নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য সদস্য দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানানো হয়।