Bangladesh
ওমিক্রন মোকাবিলায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৪ জানুয়ারি ২০২২: করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণের হারের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সবকিছু বন্ধ করে লকডাউনের চিন্তা না থাকলেও বিভিন্ন বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপের দিকে যাচ্ছে সরকার। করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার সনদ ছাড়া হোটেলে খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আসছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করার।
গণপরিবহনে আসন সংখ্যার চেয়ে কমিয়ে যাত্রী পরিবহনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসতে পারে। মাস্ক পরার বিষয়েও আসছে কঠোরতা, মাস্ক না পরলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দেওয়া হবে শাস্তি। তবে আপাতত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোনো চিন্তা সরকারের নেই। সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাতে সচিবালয়ে ওমিক্রন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সভায় ওমিক্রনের বিষয় ও সার্বিক প্রস্তুতির বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো এখনই বলে দেওয়া যাবে না। ক্যাবিনেটে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের যখন আলোচনায় যেতে বলা হলো আমরা বলেছি, হাসপাতালগুলো প্রস্তুত আছে। অক্সিজেন আছে এখন। সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ১২০টি স্থাপন করা আছে। আমাদের টিকা কার্যক্রম চলমান আছে। ২০ বেড, আমরা সবই রেখে দিয়েছি। এখন ডাক্তাররা প্রশিক্ষিত। তারা জানে কীভাবে করোনা চিকিৎসা করতে হয়। তারা অনেক অভিজ্ঞ, দেশবাসীও এ বিষয়টি জানে।
তিনি আরও বলেন, তবে আশঙ্কার বিষয় হলো করোনা বেড়ে যাচ্ছে। আজকের কথাই যদি বলি, আজকে সংক্রমণ ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে, যেটা একের নিচে নেমে গিয়েছিল, এটা আশঙ্কাজনক। মৃত্যুহার যদিও এখন কম আছে। কিন্তু সংক্রমণ বাড়তে থাকলে মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আমরা এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই।
জাহিদ মালেক বলেন, আপনারা জানেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে আবারও সেই লকডাউনের কথা চলে আসবে। আবারও স্কুল-কলেজ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা হবে। আবারও পরিবহনের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা থাকবে। কীভাবে পরিবহনটাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য...সব কিছুর ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাবে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেটা আমরা চাই না।