Bangladesh
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে বৃহষ্পতিবার। এবার এসএসসিতে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় পাসের হার বেড়েছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ। গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) গণভবন থেকে সুইচ টিপে ফল প্রকাশ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। মূল কার্যক্রম হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ উদ্বোধনের পর এ ফল প্রকাশ করেন।
চলতি বছরে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন পরীক্ষার্থী। মোট ৩ হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে এবারের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোট ২৯ হাজার ৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারছে।
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ এবং ২০২২ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনের জন্য সোনার মানুষ হবে আজকের শিক্ষার্থীরা। এজন্য তাদের সেভাবে গড়ে তুলতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের নজর দেওয়ার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আজকের দিনটা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলাফল ঘোষণা পাশাপাশি নতুন বছরের নতুন বই দেওয়া হচ্ছে। বই হাতে পাওয়ার আনন্দ আলাদা, নতুন বই মলাট লাগানো ও তাতে নাম লেখা, এটা অন্য রকম অনুভূতি।
শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী যাতে পিছিয়ে না থাকে, তাদের উপযোগী করেও বই প্রস্তুত করে দিচ্ছি। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নিজেদের ভাষায় বই তৈরি করে দিচ্ছি। এ পর্যন্ত আমরা তাদের ৫টি ভাষা পেয়েছি। সে ভাষায় বই করে দিয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে করোনায় ভার্চুয়াল শিক্ষা চালু রেখেছে। সবার হাতে বই দিয়ে ঘরে বসে শিক্ষাকার্যক্রম চালানোর সুযোগ চালু করা হয়েছে। চার কোটির বেশি শিক্ষার্থীর হাতে ৩৪ কোটিরও বেশি বই ১ জানুয়ারি ২০২২ এরমধ্যে দেওয়া হবে। ২০১০ থেকে আমরা এ কার্যক্রম করে আসছি।