Bangladesh
রাইড শেয়ারিং ও কুরিয়ারে খরচ বাড়ছে ২০ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৮ আগস্ট ২০২২: জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করায় কুরিয়ার সর্ভিস ও রাইড শেয়ারিংয়ের খরচ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন দুই খাতের উদ্যোক্তারা। এর ফলে যাত্রীদের পাশাপাশি ই-কমার্স ও এফ কমার্স উদ্যোক্তাদের খরচ বেশ বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত শুক্রবার রাতে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৪২-৫২ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়ার পরের দিন থেকেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করে প্রভাব কৃষি, শিল্পসহ সব খাতে। এরই মধ্যে, রাইড শেয়ারিং ও কুরিয়ার খাতের উদ্যোক্তারাও সেবামূল্য বৃদ্ধির কথা ভাবছেন।
দেশব্যাপী পণ্য পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান ই-কুরিয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিপ্লব ঘোষ রাহুল বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতি কিলোমিটারে আমাদের খরচ নয় টাকা বেড়েছে। পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এরই মধ্যে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখনো খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করিনি। নিজেদের মধ্যেই আলোচনা চলছে। তবে পণ্য পরিবহনে খরচ অবশ্যই বাড়বে।
‘এরই মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সেবামূল্য বাড়িয়ে ফেলেছে। আমরাও ২০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। তবে আমরা যৌক্তিকভাবে খরচ বাড়াতে চাচ্ছি, যাতে গ্রাহকের ওপর চাপটা কম পড়ে।’
কুরিয়ার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৫৩টি কুরিয়ার সার্ভিস রয়েছে। এগুলোর মধ্যে নিবন্ধিত ৭৮টি। দেশে ডিজিটাল কমার্সের প্রবৃদ্ধিতে অনলাইন কুরিয়ার সার্ভিস জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কুরিয়ার সার্ভিসগুলো সাধারণত পণ্য আনা-নেওয়ায় ঢাকার মধ্যে ৬০ টাকা আর ঢাকার বাইরে ১২০ টাকা ডেলিভারি চার্জ নেয়। তবে জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে পার্সেলপ্রতি ২০-৩০ টাকা ডেলিভারি চার্জ দাবি করছে।
উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টের (উই) সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, এমনিতেই কুরিয়ার সার্ভিসের খরচটা গ্রাহকরা দিতে চান না। এ জন্য ছোট উদ্যোক্তরা সম্পূরক হিসেবে কুরিয়ার খরচটা বহন করে। এতে তাদের ব্যবসার প্রসার ও হয়।
রাজধানীর গণপরিবহনের ভোগান্তি দূর করতে ২০১৬ সালে উবার, পাঠাও নামের দুটো রাইড শেয়ারিং কোম্পানি যাত্রা শুরু করে। প্রথমে লাভজনক সুযোগ-সুবিধা থাকায় কয়েক হাজার মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িচালক রাইড শেয়ারিং শুরু করেন। বাজারে আসে আরও একাধিক কোম্পানি।