বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ড

ফাইল ছবি ডিএসসিসি মেয়র ফজলে নূর তাপস

দোকান মালিকদের বাধায় ঝুঁকিপূর্ণ বঙ্গবাজার ভাঙা যায়নি: তাপস

তিনি বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেট ২০১৯ সালে করপোরেশন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে। তখন নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সে সময় মার্কেট সমিতি নতুন ভবন নির্মাণে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে এবং হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেন। এতে সিটি করপোরেশনের কিছু করার ছিল না। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যালয় নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ অগ্নিকাণ্ডে ৫ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এই দুর্ঘটনা তদারকি করছেন।

ঘটনার মাত্র এক দিন আগে সোমবার ৩ এপ্রিল বঙ্গবাজার মার্কেট অগ্নিনিরাপত্তার দিক থেকে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। সাধারণ জনগণকে এ বিষয়ে সতর্ক করতে ঘোষণাটি ব্যানার আকারে মার্কেটের সামনে টাঙিয়ে দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর।

ব্যানারে লেখা ছিল, অগ্নিনিরাপত্তার দিক থেকে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার এ কথা জানান।

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেট দিয়ে সতর্কীকরণের এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আমাদের পরিচালিত জরিপে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত এবং এখনও ঝুঁকি নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি এমন সকল মার্কেট, আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ সকল স্থাপনায় এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা হবে।

তিনি জানান, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ কারণে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে এমন সকল স্থাপনায় এই কার্যক্রম চালু থাকবে।