Bangladesh
সিলেট অঞ্চলে ডুবছে রাস্তাঘাট, প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল
ঢাকা, ২ জুলাই ২০২৩ : গত তিনদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে।
ফলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেট অঞ্চলের তাহিরপুর, ছাতক, দোয়ারা বাজার, মধ্যনগরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল। আর ডুবে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিম্নাঞ্চলের পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষকে।
এদিকে শনিবার সকালে পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দূর্গাপুর সড়ক ডুবে যাওয়ায়, সুনামগঞ্জ শহরের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন লক্ষাধিকেরও বেশি মানুষ। এমনকি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় বন্যা আতঙ্কে ভাটির ২০ লাখেরও বেশি মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, ঢলের পানি যেভাবে বাড়ছে এতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় ও উজানের পাহাড়ি ঢল নামায় সুনামগঞ্জের সুরমা, যাদুকাটা, কুশিয়ারাসহ সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সুনামগঞ্জের স্বল্পমেয়াদি বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে দুই কৃষক নিহত হয়েছেন। এসময় আরও একজন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জহুর আলী (৫০) ও ছলিম উদ্দিন (৩৭)। জহুর আলী ওই গ্রামের করিম সওদাগরের ছেলে এবং ছলিম উদ্দিন একই এলাকার মহির উদ্দিনের ছেলে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধন কুমার বিশ্বাস জানান, দুপুরে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। পরে কাজ রেখে বাজারের পাশের একটি টিনের চালার নিচে আশ্রয় নেন। এসময় বজ্রপাতে তিনজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে তাদের মৃত্যু হয়। আহত রেজাউল বর্তমানে শঙ্কামুক্ত। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।