Bangladesh
রূপপুর মেটাবে বিদ্যুতের চাহিদা, হবে লাভজনক
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২১ মে ২০২২: পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে চলছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ। ২০২৩ সালেই যেন এখানকার প্রথম ইউনিট উৎপাদনে যেতে পারে, সেই লক্ষ্যে চলছে কার্যক্রম। সংশ্লিষ্টদের আশা এটি একদিকে দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করবে অন্যদিকে দ্বিগুণের বেশি অভ্যন্তরীণ রিটার্ন দেবে সরকারকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। ৯০ শতাংশ রাশিয়ার ঋণ, বাকি ১০ শতাংশ ব্যয় করবে বাংলাদেশ সরকার। উৎপাদনে গেলে রাশিয়াকে প্রতি বছর ঋণ শোধ করতে হবে ৫৬৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৫৬ কোটি ডলার। এত বড় অংক দেখে কেউ কেউ এটিকে সাদা হাতির প্রকল্প বলছেন। কিন্তু এমন অভিযোগ নাকচ করে সরকারের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটা শ্বেত হস্তীর প্রকল্প নয়, বরং উন্নয়নের মাইলফলক।
রূপপুর সাদা হাতি নয়, এটাকে বরং দেশ গঠনের হাতি বা উন্নয়নের হাতি বা সাধারণ মানুষের ভাগ্য বদলের হাতি বলতে পারেন। ফসিল ফুয়েল আর কত দিন চলবে? গ্যাস বা তেল পুড়িয়ে একদিকে যেমন জলবায়ুর ক্ষতি করছি, অন্যদিকে এটা কত দিন মিলবে তা নিয়েও ঝুঁকি আছে। এসব কারণেই আমাদের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণ করতে হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পের দুটি রিঅ্যাক্টর চালুর পর প্রতি বছর কিস্তি পরিশোধ করতে হবে (৫৬ কোটি ডলার)। প্রকল্পের রিটার্ন থেকে কিস্তির অর্থ উঠে এলে ভর্তুকির দরকার পড়বে না।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, প্রতি বছর অভ্যন্তরীণভাবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে রিটার্ন আসবে সাড়ে ৯ শতাংশ। প্রকল্প ঋণের সুদ ১ থেকে ২ শতাংশের বেশি হবে না। তার মানে বাংলাদেশ এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক লাভবান হবে। তাহলে এটা সাদা হাতি কীভাবে হলো? মানুষজন কেন বা কীভাবে এটাকে এভাবে বলছেন বুঝি না। প্রকল্পে বাৎসরিক রিটার্ন সুদের হার অনেক কম। আমরা এ প্রকল্প নিয়ে কোনো বিপদে পড়বো না। ঋণ বছর বছর ফিরিয়ে দিতে পারবো। অভ্যন্তরীণ রিটার্ন দ্বিগুণের বেশি। ঋণটা নিচ্ছি ২৮ বছরের। গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছর হাতে সময় পাবো। আমরা এটা দিতে পারবো। তাছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বিদ্যুতের জন্য রূপপুরের কোনো বিকল্প নেই।