Bangladesh
যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়া, কারও পক্ষেই যাবে না ঢাকা
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২: ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা চলছে মস্কোর। ঢাকা চাচ্ছে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক।
ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে বিপুলসংখ্যক রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর উত্তেজনা চলছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চলমান ইউক্রেন সংকট ক্রমেই জটিল হচ্ছে। এরই মধ্যে এ সংকট নিয়ে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াশিংটন ও মস্কো যার যার অবস্থান ঢাকা-কে জানিয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা কোনো পক্ষেই যাচ্ছি না। আমরা সবসময় শান্তিপ্রিয়। আমরা শান্তি চাই। ইউক্রেন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে কোনো পক্ষকেই আলাদা করে সমর্থন করা হবে না।
ঢাকা চাইছে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে এ সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক। ইউক্রেন সংকটের মূল কারণ ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল নিয়ে। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে। ইউক্রেন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অংশ থাকাকালে প্রায় ২০০ বছর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল ক্রিমিয়া। কিন্তু সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র ভেঙে যাবার পর ক্রিমিয়ার মালিকানা দেওয়া হয় ইউক্রেনকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার দেশে ফিরে যাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানিয়ে ডিমারশে লেটার (ইউক্রেন পরিস্থিতির বিস্তারিত শেয়ার করে নোট) দেয় ঢাকাকে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (ঢাকা) জানুয়ারি মাসের শুরুর দিন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঢাকার অবস্থান জানতে চান।
অন্যদিকে, ঢাকায় নিযুক্ত মস্কোর রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানটিটস্কিও জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে পররাষ্ট্র সচিবকে ইউক্রেন নিয়ে তাদের অবস্থান জানান। ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিও ইউক্রেন নিয়ে তাদের অবস্থান পররাষ্ট্র সচিবকে অবহিত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া বা ইইউ যার যার অবস্থান আমাদের জানিয়েছে। ভালো কিছু মনে হচ্ছে। আসলে বিষয়টা হচ্ছে, ওরা পরোক্ষভাবে আমাদের কাছে কিছু শুনতে চায়। আমরা কোন দিকে? আসলে, আমরা তো স্বাধীনতার পর থেকে নিরপেক্ষ। আমরা নিরপেক্ষ অবস্থানে আছি। আমাদের সচিব মহোদয় তাদের জানিয়েছেন, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে এ সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ঢাকা।