Bangladesh
আলু-আম-ফুলকপি নিতে চায় রাশিয়া
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩: বাংলাদেশ থেকে আলু, আম ও ফুলকপি নিতে চায় রাশিয়া। এর মধ্যে এ বছরই রাশিয়ায় ফের আলু রপ্তানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। রোববার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আলু রপ্তানিতে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে দেশ থেকে অনেক আলু রপ্তানি হতো। সম্প্রতি রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় পুনরায় আলু রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বছরই রপ্তানি শুরু হবে।
আলু ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া আম, ফুলকপি, বাঁধাকপি নিতে চায় বলেও জানান মন্ত্রী। আলুতে ব্রাউনরট রোগের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানিতে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আলুকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ২০২২ সালের মার্চে রাশিয়া এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের আম ও ফুলকপি অত্যন্ত সুস্বাদু ও উন্নত মানের। রাশিয়াতে এগুলো রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আম ও ফুলকপি দ্রুত রাশিয়ায় নিতে চাই।
সাক্ষাৎকালে রাশিয়া থেকে ডিএপি ও পটাশিয়াম সার আনতে ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া থেকে আমরা পটাশিয়াম আমদানি করে থাকি। এ ব্যাপারে দু-দেশের মধ্যে একটি এমওইউ বিদ্যমান রয়েছে, এটিকে নবায়ন করা হবে। একইসঙ্গে, রাশিয়া থেকে আমরা ডিএপি সার আনতে চাই। এ বিষয়েও একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হবে শিগগিরই। এই মুহূর্তে আমাদের পর্যাপ্ত সারের মজুত রয়েছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক জিনিসের দাম কমলেও বাংলাদেশে তার প্রভাব পড়েনি; জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ওই রকম কমেনি। আমাদের পাঁচ ডলার যেটার দাম ছিল, সেটা পঁচিশ ডলারে আছে। তার মানে এখনো পাঁচ গুণ বেশি।
তিনি বলেন, রুবলের সঙ্গে টাকা বিনিময় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার কিছুটা উদ্যোগ নিয়েছে। চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার এটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।