Bangladesh
জবাবদিহিতা ছাড়া র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২২: সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
রোববার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) ‘বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক : বর্ধিত সহযোগিতা ও অগ্রসর অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক এক সেমিনারে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আইন প্রয়োগ বিষয়ে আমি সৎভাবে বলতে চাই, সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই। আমরা এমন একটি র্যাব চাই, যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে তেমনি কঠোর থাকবে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে।
পিটার হাস বলেন, র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মানে এই নয় যে, আমরা জোরদার আইন প্রয়োগ বিষয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারব না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাব।
সন্ত্রাসবাদ দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ দমনে পুলিশ, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ইউনিট এবং চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতামূলক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান হাস।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা আমাদের নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারি। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমরা সম্পৃক্ত। আমরা বেশ কয়েকটি বার্ষিক অনুশীলন পরিচালনা করি। দুদেশের নিজ নিজ বিশেষ অপারেশন বাহিনী বর্তমানে টাইগার শার্ক নামে একটি যৌথ মহড়া পরিচালনা করছে। আমরা অন্যান্য সমমনা পরস্পর-সহযোগী দেশগুলোর সমন্বয়ে এসব সহযোগিতা কার্যক্রম জোরদার করতে পারি।
গত ৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের অষ্টম নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সংলাপে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি উভয়পক্ষ জিসোমিয়া ও আকসা চুক্তি নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করে।
সংলাপে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে ওয়াশিংটনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি বনি জেনকিন্স।