Bangladesh
করোনা পরিস্থিতির অবনতি, ফের বাড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৪ মার্চ ২০২১: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা স্কুল-কলেজের ছুটি ফের বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
গতবছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ সময়ে অনলাইনে এবং সংসদ টিভিতে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখে সরকার।
তবে করোনা সংক্রমণ কমে আসায় আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি নির্দেশনার আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুতিরও নির্দেশ দিয়েছে।
অপরদিকে, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে পবিত্র শবে বরাতের ছুটি ২৯ মার্চের পরিবর্তে ৩০ মার্চ নির্ধারণ করেছে সরকার। এছাড়া করোনা রোগী শনাক্তের হার তিন হাজার ছাড়িয়েছে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ)।
এ পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে কিনা- প্রশ্নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বুধবার বলেন, এ বিষয়ে দুই-এক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আমরা সববিষয় মাথায় রাখছি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করোনা রোগী বাড়ার কারণে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কারণ এ পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের স্কুল-কলেজে পাঠানো ঠিক হবে না। ঈদের পর পর্যন্ত এ ছুটি আপাতত বাড়তে পারে।
পবিত্র শবে বরাতের ছুটি ২৯ মার্চের পরিবর্তে ৩০ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ কারণে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। এ ছুটি আরও পিছিয়ে দেয়া হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। নতুন করে করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় ঈদুল ফিতর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মাধ্যম থেকে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: মাহবুব হোসেন বুধবার (২৪ মার্চ) জাগো নিউজকে বলেন, "সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও সেদিন শবে বরাতের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে সেদিন স্কুল-কলেজ খোলা হবে না।"
তিনি বলেন, "করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানিয়ে তাদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে না। তাদের সুরক্ষার কথাটি আগে বিবেচনা করে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।"
পবিত্র ঈদুল ফিতর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির ঘোষণা দেয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।