Bangladesh
ঘানার কাছে সিভিএফ সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর শেখ হাসিনার
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৬ মে ২০২২: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘানার কাছে সিভিএফ সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।
বুধবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানে তিনি এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) বাংলাদেশের নেতৃত্বে থাকাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য একটি যথার্থ কণ্ঠস্বর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে করোনা মহামারির মধ্যেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করতে পারায় স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিমণ্ডলে এখন সিভিএফের একটি উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। সিভিএফ বাংলাদেশের সভাপতিত্বে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য একটি যথার্থ কণ্ঠস্বর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের সভাপতিত্বে এর সদস্যপদ বৃদ্ধিই তার প্রমাণ। আমি আশা করছি এটি প্যারিস চুক্তির অধীনে উন্নত দেশগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করতে চাপ অব্যাহত রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের সভাপতিত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায় হবে ঝুঁকিপূর্ণ সমস্যাকে জলবায়ু দুর্বলতা থেকে স্থিতিস্থাপকতা এবং সমৃদ্ধিতে রূপান্তরিত করা। বাংলাদেশে আমরা আমাদের ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ তৈরি করছি। আমরা বিশ্বাস করি এটি অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য তাদের নিজস্ব প্রেক্ষাপটে একটি দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারে।
সিভিএফ সদস্য দেশগুলিতে এক দশমিক ৫ বিলিয়ন মানুষ জলবায়ু জরুরি পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সত্ত্বেও আমরা বিশ্বকে আশংকাজনক জলবায়ু সংকট থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে দিতে পারি না। উন্নত দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির অধীনে অর্থায়ন ও প্রযুক্তির বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ঘানার নেতৃত্বে আমরা সিভিএফের ট্রেডমার্ক- নৈতিক শক্তি এবং যুক্তিপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে আমাদের যেসব দাবি পূরণ হয়নি, সেগুলোর জন্য চাপ দিতে থাকবো।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ঘানার নিকট সিভিএফ প্রেসিডেন্সি হস্তান্তর করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এই অনুষ্ঠানে সদয় উপস্থিতির জন্য আমি রাষ্ট্রপতি নানা আকুফো-আডোকে ধন্যবাদ জানাই। আমি ঘানার প্রেসিডেন্সির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
২০২০ সালে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো সিভিএফের সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও ফোরামের কাজ পরিচালনা করতে পেরেছি। আমরা স্বস্তি বোধ করি যে, আমরা আমাদের বেশিরভাগ উদ্দেশ্যসহ আরও অনেক কিছু অর্জন করতে পেরেছি। শুরু থেকেই আমাদের প্রেসিডেন্সি কপ-২৬ ফলাফলের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছিল।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মহামারি থাকা সত্ত্বেও আমরা জলবায়ু সংকটের দিকে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। দেশগুলোর জন্য তাদের জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়াতে মিডনাইট সারভাইভাল ডেডলাইন চালু করেছি।