Bangladesh

সেদিন থেকে আওয়ামী লীগ ও দেশের জনগণই আমার পরিবার: শেখ হাসিনা
ঢাকা, ১৮ মে ২০২৩ : ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, যেদিন ফিরে এসেছিলাম, পেয়েছিলাম এদেশের জনগণকে আর আমার আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে। সেদিন থেকে আওয়ামী লীগ ও দেশের জনগণই তো আমার পরিবার।
বুধবার (১৭ মে) গণভবনে তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শুভেচ্ছা জানাতে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দীর্ঘদিন নির্বাসনে থাকা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন।
এদিন শুভেচ্ছা জানাতে আসা নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব স্বাভাবিকভাবে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বা যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে একটা গভীর ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে, যেন আমাদের অর্জনগুলো নস্যাৎ হয়।
জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা দেশের মানুষের কল্যাণের চিন্তা করে, বাকিগুলো লুটেরার দল, তারা দেশের মানুষের কল্যাণের চিন্তা করে না। সে কথা মাথায় রেখে ওই সন্ত্রাসের দল, খুনির দল, ওই যুদ্ধাপরাধীদের দল যেন আর দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেদিকে সবাইকে নজর দেওয়ার অনুরোধ জানাই।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চোর যারা ছিল, ডাকাত, রীতিমতো ভোটডাকাত যারা ছিল, তারাই এখন গণতন্ত্র চায়, ভোটের অধিকারের কথা বলে। যাদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে, তাদের কাছে শুনতে হয় এসব কথা। এগুলো মাঠের কথা মাঠে থাকবে, আমরা জনতার সঙ্গে থাকবো, জনতার পাশে থাকবো।
জনগণের আস্থাই আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করে তাদের ভোটের মাধ্যমেই তো আমরা সরকারে এসেছি। তাদের বিশ্বাস-আস্থাটাই আমাদের একমাত্র শক্তি। আর কোনো শক্তি নেই। বাংলাদেশের জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র বন্ধু।
আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচনী পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা এনেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র নিয়ে অনেকে কথা বলে, ভোটের অধিকার নিয়ে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ভোটের অধিকার কবে ছিল। ৭৫ সালের পর থেকে যেভাবে ভোট চুরি, ভোট কারচুপি, ভোট নিয়ে খেলা, মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা, বরং আওয়ামী লীগেরই নানা পদক্ষেপের ফলে আজ বিভিন্ন সংস্কার করে করে নির্বাচন পদ্ধতিটাকে গণমুখী করা, জনগণের ভোট সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা হয়েছে।