Bangladesh
কিছু দুষ্টলোক চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে অতিরঞ্জিত কথাবার্তা বলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২২: বাংলাদেশের মোট ঋণের মাত্র পাঁচ শতাংশ চীন থেকে গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘কিছু দুষ্টলোক চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে অতিরঞ্জিত কথাবার্তা বলছে। তাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে চায়নানির্ভর প্রমাণ করা; যাতে যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট হয়।’
তিনি বুধবার সিলেটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন। ঋণ গ্রহণে বাংলাদেশ খুবই হিসাবি উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম ঋণ গ্রহণ করে থাকে। জিডিপির মাত্র ১৫-১৬ শতাংশ আমরা ঋণের উপর নির্ভরশীল।’
তিনি বলেন, ‘শতকরা ৫ শতাংশ চীনা ঋণ নেয়া হয়। দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি জাপান থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি এসব সংস্থা থেকে বেশি ঋণ নেয়া হয়।’
শ্রীলঙ্কার দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ও এর সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা আর বাংলাদেশকে একই পাল্লায় তুলনা করা যায় না। কিছু দুষ্টলোক এই প্রপাগা-ার ছড়াচ্ছে। শ্রীলঙ্কা কেবল পর্যটনের উপর নির্ভরশীল দেশ ছিল। আমাদের রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্সের ধারে-কাছেও তাদের অবস্থান নেই। তাদের চেয়ে আমাদের সক্ষমতাও বেশি।’
তিনি আরও বলেন, এ বছর আমার দেশে ৪৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। করোনার সময় ২৫ বিলিয়ন রেমিটেন্স এসেছে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের তুলনা করা ঠিক না।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জেনেছি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে নিমন্ত্রণ জানাতে আসছেন। সফরকালে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে তিস্তা, কুশিয়ারা নদীর পানি ইস্যু, ভবিষ্যৎ সহযোগিতা, বাণিজ্য, কানেক্টিভিটি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’
এর আগে পররাষ্টমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ‘সমকাল এবং আল খায়ের ফাউন্ডেশন’ এর উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। নগরের ধোপাদিঘীরপারের হাফিজ কমপ্লেক্স্রে ‘সবার জন্য ঈদের খুশি’ স্লোগানে তিনশ অসহায় ও দুস্থ লোকের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে পররাষ্টমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা দেখেছি, কিন্তু আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর মত মমতাময়ী নেতা আমি কোথাও দেখিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আজ পর্যন্ত কোনো মিটিং মিস করেননি। সব মিটিংয়েই তিনি উপস্থিত থেকেছেন। আগে যারা সরকার প্রধান ছিলেন শুনেছি তারা প্রায়ই মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকতেন। দেশের উন্নয়নে তিনি সবসময় নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তার নিরলস প্রচেষ্ঠায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’