Bangladesh
তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ : তিস্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ভারতের সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে আলোচনা হলে তিস্তা ইস্যু আসবেই। নদী, পানি ও মাটি নিয়ে সরকারের অনেক মহাপরিকল্পনা রয়েছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার কয়েকটি খসড়া ইতোমধ্যে তৈরি করেছে। বর্তমান সরকার এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের মোস্তফীহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের রজতজয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এরআগে গত ৯ অক্টোবর তিস্তিা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে চীনের সদ্যবিদায়ী রাষ্টদূত লি জিমিং বলেন, প্রতি বছর বন্যার কারণে তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার মানুষ ঘর-বাড়িসহ আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে করে সর্বস্বান্ত হয় তিস্তা পাড়ে মানুষ। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তিস্তা পাড়ের মানুষগুলো আলোর মুখ দেখবে।
ওাষ্ট্রদূত তিস্তা ব্যারেজ ও কমান্ড এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যারেজ এলাকার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে এবং দুই দেশের সরকারের প্রচেষ্টায় দ্রুত কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সবদিক দিয়ে পরিবর্তন ঘটবে এই এলাকার। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, অর্থনীতি, প্রকৃতি ও পরিবেশ যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ মানুষের প্রতিটি ক্ষেত্রে এটি অবদান রাখবে।
লি জিমিং বলেন, এই এলাকার মানুষরা কী ভাবছেন সেটি সবার আগে খেয়াল করছি আমরা। মানুষের কতটা চাহিদা রয়েছে সেটিও দেখা হচ্ছে।
তিস্তাকে ঘিরে মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির আদলে তিস্তার দুই পাড়ে পরিকল্পিত স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলার কথা ভাবা হচ্ছে। নদী খনন ও শাসন, ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষিসেচ ব্যবস্থা, মাছচাষ প্রকল্প, পর্যটনকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে ৭ থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার আর্থিক সমৃদ্ধি হবে।