Bangladesh
পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে বৃহস্পতিবার
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩: ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার নতুন ব্রডগেজ রেলপথ এখন ট্রেন চালানোর জন্য প্রস্তুত। আগামী ৭ সেপ্টেম্বও বৃহস্পতিবার নতুন এ রেলপথ দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা স্টেশনে যাবে ট্রেন। এরপর আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন। যদিও পুরো প্রকল্পে নির্মাণ হতে যাওয়া ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য ১৭২ কিলোমিটার।
ঢাকা-পদ্মা সেতু-ভাঙ্গা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান অনুমতি দিয়েছেন। আর ট্রেন চালানোর যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে এক পত্রের মাধ্যমে রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক পূর্ব ও পশ্চিমকে অনুরোধ জানিয়েছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন। ট্রেন চালাতে এই পথে গেন্ডারিয়া ও কেরানীগঞ্জ স্টেশনে কিছু টার্ন আউটের (এক রেলপথ থেকে আরেক রেলপথে ট্রেন যাওয়ার পথ) কাজ বাকি ছিল। সেগুলো গত ২৫ আগস্টের মধ্যে শেষ হয়েছে।
নতুন রেলপথে নতুন কোচ দিয়ে রেক তৈরি করে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেই মোতাবেক যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি নতুন একটি লোকমোটিভ (ইঞ্জিন), একটি পাওয়ার কার (ডব্লিউপিসি), শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডাইনিং কার ও গার্ড ব্রেক (ডব্লিউজেডিআর), শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপার কার (ডব্লিউজেসি), ২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার (ডব্লিউজেসিসি) এবং একটি শোভন চেয়ার কোচ (ডব্লিউইসি) ক্যারেজের ব্যববস্থা করা হচ্ছে। টেস্ট রানের ওই ট্রেনের যাত্রী হবেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এবং রেলেওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে পদ্মা সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হলে গত ৪ এপ্রিল ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছিল। এবার ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার নতুন ব্রডগেজ রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে।
গতকাল রোববার রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প আগামী ১০ অক্টোবর উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী তারিখ দিয়েছেন। তিন অংশে ভাগ করে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রথম অংশ ঢাকা-মাওয়ার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৮ কিলোমিটার। এ অংশের মধ্যে কেরানীগঞ্জে একটি নতুন স্টেশন তৈরি হচ্ছে। দ্বিতীয় অংশ মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৩ কিলোমিটার। এ অংশে নতুন পাঁচটি স্টেশন ভবন রয়েছে। এবং প্রকল্পের শেষ অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৩ কিলোমিটার।