Bangladesh
ভোটের মাঠে থাকবেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৬ লাখ সদস্য
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৪ নভেম্বর ২০২৩: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৬ লাখ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এ সংক্রান্ত একটি খসড়া তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পালনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য চাহিদা দেওয়া হয়েছে হাজার কোটি টাকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে পুলিশের ১ লাখ ১ হাজার, আনসার বাহিনীর ৪ লাখ ৪৬ হাজার ও ৪১ হাজার গ্রাম পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া বিভিন্ন বাহিনীর ২ হাজার ২১০ প্লাটুন (৬৬ হাজার ৩০০ জন সদস্য) ভোটের দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে বিজিবি ১ হাজার ১০৬ প্লাটুন (প্লাটুন প্রতি ৩০ জন); কোস্ট গার্ড ৪২ প্লাটুন, র্যাব ৬০০ প্লাটুন, সেনাবাহিনীর ৪১৪ প্লাটুন ও নৌ বাহিনীর ৪৮ প্লাটুন।
ইসি সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন খাতে ব্যয় বাড়বে। প্রায় ৯ লাখ প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণের ভাতা বাবদ গত নির্বাচনের চেয়ে এবার দ্বিগুণ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া যাতায়াত বাবদ তারা প্রত্যেকে অতিরিক্ত আরও ১ হাজার টাকা করে পাবেন। শুধু ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভাতা বাবদ ব্যয় গত নির্বাচনের তুলনায় বেড়েছে ২৮০ কোটি টাকা। এগুলোসহ নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
এছাড়া নির্বাচনি প্রশিক্ষণ খাতে ব্যয় হচ্ছে আরও ১৩৫ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় ধরা হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি। যদিও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচন পরিচালনা- এই দুই খাত মিলিয়ে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। পরে তা আরও বেড়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে যে পরিমাণ টাকা চাহিদা দেওয়া হয়, সাধারণত তা পুরোপুরি দেওয়া হয় না। নির্বাচনে কোনও বাহিনীর কত সংখ্যক সদস্য কয়দিন মাঠে থাকবেন; তার উপর টাকা বরাদ্দের পরিমাণ নির্ভর করে। গত নির্বাচনেও তাই হয়েছে। তবে এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ১৫ দিন পর পর্যন্ত প্রয়োজনে মাঠে পুলিশের টহল রাখতে চায় ইসি। এবার আইনশৃঙ্খলা খাতে ব্যয় বাড়ার অনেকগুলোর কারণের মধ্যে এটিও একটি।