Bangladesh
সিঁদুররাঙা হাসিমুখে নেচে গেয়ে দেবীকে বিদায়
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৬ অক্টোবর ২০২২: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হচ্ছে আজ। রীতি অনুযায়ী, সধবা নারীরা স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন সিঁদুর, পান ও মিষ্টি নিয়ে দুর্গাকে সিঁদুর ছোঁয়ান। দেবীর পায়ে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর সেই সিঁদুর প্রথমে সিঁথিতে মাখান, পরে একে অন্যের সিঁথি ও মুখে মাখেন। মুখ রঙিন করে হাসিমুখে দেবীকে বিদায় জানানো হয়। মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। এরপর নেচে গেয়ে দেবীদুর্গাকে বিদায় জানান সনাতন ধর্মালম্বীরা। বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সকাল থেকেই সিঁদুররাঙা মহিলাদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। সকালে বিজয়া দশমীর পূজা শেষে মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল বিষাদের ছায়া। উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাকঢোলের বাজনায় ছিল দেবীদুর্গার বিদায়ের সুর।
পুরাণমতে, বিজয়া দশমীর অন্যতম আয়োজন ‘দেবীবরণ’। রীতি অনুযায়ী, সধবা নারীরা স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন সিঁদুর, পান ও মিষ্টি নিয়ে দুর্গাকে সিঁদুর ছোঁয়ান। দেবীর পায়ে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর সেই সিঁদুর প্রথমে সিঁথিতে মাখান, পরে একে অন্যের সিঁথি ও মুখে মাখেন। মুখ রঙিন করে হাসিমুখে দেবীকে বিদায় জানান। সেই খেলায় মেতে উঠেন সব বয়সের মানুষ।
কথা হয় ঢাকেশ্বরী পূজামণ্ডপে আসা মায়া সাহার সঙ্গে। তিনি বলেন, মা দুর্গা চলে যাচ্ছে কিছুটা খারাপ লাগছে। আগামী বছর আবার ফিরে আসবে। নিচে গিয়ে আনন্দ করেছি বেশ ভালো লাগছে। যাত্রাবাড়ী থেকে আসা সুপ্রিয়া মণ্ডল বলেন, পাঁচ দিন ধরে নানা আয়োজনে পূজা উদযাপন করা হয়েছে। মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে হচ্ছে এতে কিছুটা খারাপ লাগছে। আগামী বছর আবারও ফিরে আসবে দুর্গা।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর দেবী দুর্গার আবাহন বা মহালয়ার মধ্যদিয়ে দেবী পক্ষের শুরু হয়। আর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে ১ অক্টোবর শুরু হয় শারদীয় দুর্গাপূজা। এরপর হাসি-আনন্দ আর পূজা-অর্চনার মধ্যদিয়ে কেটে যায় চারদিন। বিজয়া দশমীতে ‘বিহিত পূজা’ আর ‘দর্পণ বিসর্জনের’ মধ্যদিয়ে বিদায় জানানো হচ্ছে দেবী দুর্গাকে। আর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়েই শেষ হচ্ছে সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।