Bangladesh
দু’দিন পর নিউমার্কেটে বেচাকেনা শুরু
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২২ এপ্রিল ২০২২: রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর ব্যবসায়ীরা শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি মেনে নেয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে পুনরায় দোকানপাট,বিপণি বিতানে বেচাকেনা শুরু হয়েছে।
টানা দু’দিন বন্ধ থাকার পর নিউমার্কেটের বেশিরভাগ দোকানপাট খুলেছে। বৃহষ্পতিবার থেকে ঈদের বেচাকেনা শুরু হয়েছে এবং সকাল থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় সাইন্স ল্যাবরেটরিতে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান ঢাকা কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি মাহবুব আলম।
মাহবুব আলম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দোকানপাট খুলেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও স্বাভাবিকভাবে চলবে। শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি মেনে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। শিক্ষক ছাত্র ও ব্যবসায়ী মিলে একটি সেল গঠন করা হবে। পরবর্তী সমস্যা সমাধানে কাজ করবে এই সেল। সাংবাদিকসহ আহত সকলকে ক্ষতিপূরণ দেবে ব্যবসায়ী মালিক সমিতি।
জানা যায়, এর আগে গত দু’দিন ধরে চলা অচলবস্থা নিরসনের লক্ষে বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি (৪ জন), ব্যবসায়ী নেতারা, স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। রাত ১টা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে।
এর আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা কলেজে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে দাবি-দাওয়া তুলে ধরে কথা বলেন ঢাকা কলেজের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুজয় বালা ও মাসুম বিল্লাহ।
শিক্ষার্থীরদের দাবিগুলো হলো, শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার উসকানিদাতা, ইন্ধনদাতা ও হামলাকারীদের তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আহত সব শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সব দায়ভার নিউমার্কেট ব্যবসাযয়ী সমিতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিতে হবে। হকারদের হামলায় নিহত কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী নাহিদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ডিসি, এডিসি ও নিউমার্কেট থানার ওসিকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং পুলিশ প্রশাসনকে কলেজ প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রতিটি মার্কেট ও দোকানে সিসিটিভি স্থাপন করতে হবে। প্রতিটি মার্কেটে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করতে হবে। ফুটপাত দখলমুক্ত, অবৈধ কার পার্কিং উচ্ছেদ ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।