Bangladesh
৩০ মার্চ থেকে পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক রেলচলাচল করবে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৮ মার্চ ২০২৩ : ওপরে সড়কপথের পর এবার স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নিচতলায় পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণের কাজও শেষ পর্যায়ে। এরমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ কাজ। বাকি আছে মাত্র আর একটি স্লিপার বসানোর কাজ। সাত মিটার দীর্ঘ স্লিপারটি বসলেই সম্পন্ন হবে লাইন নির্মাণ। স্লিপারটি বসানো হলে আগামী ৩০ মার্চ মাওয়া থেকে জাজিরা পুরো সেতুতে পরীক্ষামূলক রেলচলাচলেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, বাকি থাকা স্লিপারটি চীন থেকে উড়োজাহাজে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে। সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় স্লিপারটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। দ্রুত সেটি প্রকল্পের সাইটে পৌঁছাবে।
নাম প্রকাশ না করে পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের এক প্রকৌশলী বলেন, কেবল একটি স্লিপার মিস ম্যাচের জন্য দেরি হচ্ছে। রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৩০ মার্চ ট্রেন চলার জন্য সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। স্লিপারটি বসানোর সঙ্গে ছয় মিটারের কংক্রিটের কাজ করা হবে। সেটি শক্ত হতে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগে। তা না হলে সেটি ওপর দিয়ে ট্রেন যেতে পারবে না।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ সোমবার বিকেলে বলেন, স্লিপারটি বাংলাদেশে পৌঁছেছে। প্রকল্প এলাকায় পৌঁছানো মাত্রই ১২ ঘণ্টার মধ্যে সেটি বসানো হবে। তারপরই কংক্রিটের কাজ করা হবে। স্লিপারটির জন্যই এখন অপেক্ষা। আমাদের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা রেল সেতুতে এমন আটটি মুভমেন্ট জয়েন্ট আছে। বাকি সাতটি যথাযথভাবে স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর মাঝামাঝি পাঁচ নম্বর মুভমেন্ট জয়েন্টের ওই ইস্পাতের স্লিপারটি বসানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। আর মূল সেতুতে ১১ হাজার ১৪০টি স্লিপার স্থাপিত হয়েছে। মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের আটটি স্লিপার ছাড়া বাকি সবগুলো কংক্রিটের তৈরি। এগুলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা পুরোনো রেলস্টেশনের পাশে স্থাপিত কারখানায় তৈরি করেছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।