Bangladesh
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হলেন আ.লীগের দুই প্রার্থী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৫ জুন ২০২১: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী। তারা হচ্ছেন ঢাকা-১৪ আসনে আগা খান মিন্টু এবং কুমিল্লা-৫ আসনে অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম খাঁন। ঢাকা-১৪ আসনে আসনে তিনজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় আজ শুক্রবার (২৫ জুন) আওয়ামী লীগ প্রার্থী আগা খান মিন্টুকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৪ শূন্য আসনের প্রার্থী আগা খান মিন্টুকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১৯ এর বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হলো।
এর আগে গত ২৩ জুন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহজালাল সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় পার্টির মোস্তাকুর রহমান, বিএনএফের কে ওয়াই এম কামরুল ইসলাম ও জাসদের আবু হানিফ মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় আগা খানের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।
এই আসনে আগামী ২৮ জুলাই ভোট হওয়ার কথা ছিল। আওয়ামী লীগের আসলামুল হক এমপির মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়েছিল।
অবিভক্ত ঢাকার প্রথম মেয়র মো. হানিফের সময়ে ১৯৯৪ সালে গাবতলী-মিরপুর এলাকার কমিশনার ছিলেন আগা খান মিন্টু। বৃহত্তর মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিও ছিলেন তিনি। আগা খান বর্তমানে শাহআলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এদিকে কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম খাঁন। শুক্রবার (২৫ জুন) বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল হাসান জানান, গত ২০ জুন জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙল প্রতীকের প্রার্থী জসিম উদ্দিন তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন। ২৩ জুন ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। পরে ওই আসনে আবুল হাশেম খাঁন একক প্রার্থী ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) প্রতীক বরাদ্দের দিন নৌকার প্রার্থী হাশেম খাঁনকে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।
কামরুল হাসান জানান, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাশেম খাঁনকে চিঠির মাধ্যমে জয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু ১৪ এপ্রিল মারা যান। ২১ এপ্রিল আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। তিনি এ আসন থেকে মোট পাঁচবার (১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।