Bangladesh
ড্রেন-রাস্তায় বর্জ্য ফেললে ২ বছরের জেল
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১: কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ড্রেন বা পানিতে বর্জ্য ফেললে বা খোলা জায়গায় বর্জ্য পোড়ালে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১’ করেছে সরকার। সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিধিমালায় বর্জ্য সৃজনকারী এবং ব্যবহারকারীর দায়িত্ব, প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব, পণ্য প্রস্তুতকারক বা আমদানিকারকের দায়িত্ব, স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। উৎপাদনকারীর সম্প্রসারিত দায়িত্বের (ইপিআর) আওতায় জৈবিকভাবে অপচনশীল পণ্যের প্রস্তুতকারী বা আমদানিকারকদের বর্জ্য নিঃশেষ (ডিসপোজ) বা পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করার (রিসাইক্লিং) ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে অংশ নিতে হবে। বিধিমালা অনুযায়ী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অর্থায়নসহ প্রয়োজনে জনবলও দিতে হবে প্রস্তুতকারীদের।
এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগ) কেয়া খান জাগো নিউজকে বলেন, 'আমরা অনেক কিছুই এই বিধিমালার মধ্যে এনেছি। বিধিমালাটি বাস্তবায়ন করা গেলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরও উন্নতি আসবে বলে মনে করি।'
তিনি বলেন, 'বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজটি মূলত স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সিটি করপোরেশন করে। এই দায়দায়িত্ব তাদেরই। পৃথিবীর সব দেশেই প্লাস্টিকসহ অপচনশীল বর্জ্য রয়েছে। আমাদের সমস্যা হলো আমরা সেটা ম্যানেজ করতে পারি না। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা বিধিমালাটি করেছি।'
‘বিধিমালার গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে- এক্সটেন্ডেড প্রডিউসার রেসপন্সিবিলিটি (ইআরপি)। যাদের পণ্য থেকে বর্জ্যের সৃষ্টি হচ্ছে তাদের দায়-দায়িত্বের মধ্যে আনা হয়েছে। বর্জ্য রিসাইক্লিং ও ডিসপোজালের ক্ষেত্রে তাদের দায়-দায়িত্ব ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ইপিআরের মাধ্যমে এটা করা হবে। বিধিমালায় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’