Bangladesh
বঙ্গোপসাগরের মৎস্য আহরণে পাশে থাকবে জাতিসংঘ
ঢাকা, ২৩ মে ২০২৩ : বঙ্গোপসাগর ও উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের মৎস্য ও সামুদ্রিক প্রাণিসম্পদ আহরণের মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়নে পাশে থাকবে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। এরই অংশ হিসেবে এফএও বাংলাদেশকে কারিগরি ও আর্থিক অনুদান সহায়তায় দেবে।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং এফএও প্রতিনিধিদের মধ্যে ‘সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট অব ফিশারিজ মেরিন লিভিং রিসোর্স অ্যান্ড দেয়ার হ্যাবিটেটস ইন দ্য বে অব বেঙ্গল রিজন ফর দ্য বেনিফিট কোস্টাল স্টেস অ্যান্ড কমিউনিটিস’ শীর্ষক প্রকল্প চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত এফএওর প্রতিনিধি রবার্ট ডগলাস সুংসন চুক্তিতে সই করেন।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য- টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বঙ্গোপসাগর ও উপকূলবর্তী এলাকায় মৎস্য ও সামুদ্রিক প্রাণিসম্পদ এবং এদের বিচরণস্থলের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা করা।
এ প্রকল্পে মোট অনুদান সহায়তার পরিমাণ ৫ দশমিক ৫ লাখ মার্কিন ডলার। প্রকল্পটি মৎস্য অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করবে। এতে বন অধিদপ্তর সহযোগী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
১৯৭৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত এফএও বাংলাদেশে ৩৫৪টি প্রকল্পে কারিগরি গ্রান্ট সহায়তা দিয়েছে। কৃষিখাত, পরিবেশ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূ ভূমিকা পালন করে আসছে সংস্থাটি।
এদিকে সমুদ্রে মৎস্য নৌযান শনাক্তের জন্য ১০ হাজার নৌযানে নতুন যন্ত্র ও প্রযুক্তি সংযোজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, সমুদ্রে মৎস্য নৌযান শনাক্তের জন্য ১০ হাজার নৌযানে শিগগির নতুন যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায় বাণিজ্যিক মৎস্য ট্রলারে ভেসেল মনিটরিং সিস্টেম (ভিএমএস) এবং আর্টিসানাল ও যান্ত্রিক মৎস্য নৌযানে যথাক্রমে অটোমেটিক আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম (এআইএস) ও গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন (জিএসএম) ব্যবস্থা সংযোজনের কাজ চলমান রয়েছে। এর মাধ্যমে অনুমতিপ্রাপ্ত সমুদ্রগামী নৌযানসমূহের অবস্থান জানা যাবে এবং এদের সহজেই মনিটর করা যাবে। এ নৌযানসমূহ আইনের ব্যত্যয় করলে লাইসেন্স বাতিল করাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।