Bangladesh
বাংলাদেশে মডেল নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১১ এপ্রিল ২০২৩: বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকে গোটা বিশ্বের চোখ রয়েছে জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয় সেই প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে মডেল নির্বাচন হোক, এমনটিই চাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের।
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ব্লিঙ্কেন এ প্রত্যাশার কথা জানান। বৈঠকে বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্বের ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঐকমত্য জানান ড. মোমেন। তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ওয়াশিংটনে দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সোমবারের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. আব্দুল মোমেন জানান, বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রও চায়, বাংলাদেশে মডেল নির্বাচন হোক। সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে বৈঠকের বরাত দিয়ে ড. মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, আমি (মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে) বলেছি, অবশ্যই। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। আমরাও মডেল নির্বাচন চাই। এ ব্যাপারে আপনারাও আমাদের সাহায্য করেন, যেন আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারি।
এসময় দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গত ৫০ বছরের দৃঢ় সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে আগামী ৫০ বছরের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে বিস্তৃত, গতিশীল ও বহুমুখী উল্লেখ করে ড. মোমেন এ সম্পর্ককে আরও উন্নত, বর্ধিত ও সুদৃঢ় করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি ‘জয় বাংলা’ দিয়ে শেষ হওয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পাঠানো বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে উভয় নেতা অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব জোরদার ও বহুমুখীকরণ, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান, জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম অধিকার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং নির্বাচনসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেন।