Bangladesh

ইউএনও ওয়াহিদা খানের ওপর হামলা : চাকরিচ্যুত কর্মচারিকে গ্রেফতার করল পুলিশ
রবিউল ইসলামকে গ্রেফতারের পর পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ইউএনওর ওপর হামলায় রবিউল জড়িত।
রবিউল প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে হামলার দায় স্বীকার করেছেন।
তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বেশকিছু আলামত উদ্ধার করেছি। তার বক্তব্য ও জব্দ করা সিসিটিভি ফুটেজের মিল পাওয়া গেছে।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই দিন বিকেলে ইউএনও ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করেন রবিউল ইসলাম। এ নিয়ে র্যাবের কাছে একজন ও পুলিশের কাছে অপর একজন এ হামলার দায় স্বীকার করলেন। মামলার অপর আসামি যুবলীগের আসাদুল; যাকে গ্রেফতার করে র্যাব বলেছিল, ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলাটি চুরির ঘটনা। আসাদুল হক এ ঘটনায় জড়িত।
মামলার অপর আসামি নৈশপ্রহরী নাজিমউদ্দিন পলাশকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া রবিউল পুলিশের কাছে আর যুবলীগ সদস্য আসাদুল ইসলাম র্যাবের কাছে হামলার দায় স্বীকার করেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
ডিআইজি দেবদাস বলেন, অপরাধের সঙ্গে কারা জড়িত তা শনাক্তের জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ইন্সপেক্টর জেনারেলের নির্দেশনায় এবং প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আমাদের এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনার পর থেকে দিনাজপুর পুলিশ বিনিদ্র রজনী পার করছে। দিনের ২৪ ঘণ্টার পুরোটাই তারা তদন্তকাজে ব্যয় করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়। রবিউল প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে হামলার দায় স্বীকার করেছেন। তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছি। তার বক্তব্য ও জব্দ করা সিসিটিভি ফুটেজের মিল পাওয়া গেছে।
ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, গ্রেফতার রবিউল ইসলামের শারীরিক গড়ন ও হাঁটাচলার অনেক মিল রয়েছে। ক্ষোভ থেকে রবিউল এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন। তদন্ত চলমান। সামনে নতুন কিছু এলে আবারও জানানো হবে। তবে এ ঘটনায় আসাদুল জড়িত বলে র্যাব যা বলেছেন তা তারাই ভালো জানেন। আমি সেটি নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।