সুপ্রিম কোর্ট বার

ছবি: সংগৃহিত

সুপ্রিম কোর্ট বারের ইফতার মাহফিলে নজিরবিহীন ভাঙচুর

সুপ্রিম কোর্ট বারের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি। তবে দুপক্ষের আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে তিনি সেখানে উপস্থিত হননি। এমনকি হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের কোনও বিচারপতিও ইফতার মাহফিলে আসেননি।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সমিতির অন্তর্র্বতীকালীন কমিটি (অ্যাডহক কমিটি) সমিতির ২ নম্বর হল রুমে প্রবেশ করে তাদের ইফতারের ব্যানার টানাতে গেলে একদল আইনজীবী তাদের ব্যানার কেড়ে নেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একই সময় বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীরা কালো পতাকা মিছিল নিয়ে হল রুমে প্রবেশ করেন। এতে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে আবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

একপর্যায়ে চেয়ার-টেবিল-প্লেট ফেলে দেওয়া ও ভাঙচুর করা হয়। এরপর সমিতির ১ নম্বর হল রুমে দুপক্ষের আইনজীবীরা প্রবেশ করেন। তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ইফতার মাহফিলের চেয়ার-টেবিল তছনছ হয়ে যায়। এরপর বেলা সাড়ে ৪টা থেকে থেমে থেমে দুপক্ষের আইনজীবীরা সমিতি ভবনে বিক্ষোভ করেন।

ইফতারের আগ পর্যন্ত দুই পক্ষের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। বেলা সোয়া ৫টার দিকে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা সমিতি ভবনের সামনে বসে অবস্থান নেন।

সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক অভিযোগ করেন, তিনি ইফতার পার্টিতে অংশ নিতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা মারমুখী আচরণ করেন।

অন্যদিকে সমিতির অন্তর্র্বতীকালীন কমিটির (অ্যাডহক কমিটি) সদস্য সচিব শাহ আহমেদ বাদলের নেতৃত্বে অ্যাডহক কমিটির সদস্যরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে নিচতলায় অবস্থান করেন। তারা সেখানেই ইফতার করেন।

পরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আইনজীবী জানান, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত ইফতার আয়োজনকে ঘিরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয় এবং ইফতারে হামলা চালানো হয়।