Bangladesh
১৯৭৭ সালের জঘন্য অপরাধের প্রতি মনোযোগ দেয়ার আশ্বাস মার্কিন দূতাবাসের
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৪ এপ্রিল ২০২৩ : যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে সংঘটিত জঘন্যতম অপরাধের প্রতি মনোযোগ দেবে, এমন আশ্বাস দিয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মানবাধিকার কর্মকর্তা সোফিয়া মেউলেনব্রেগ ১৯৭৭ সালে নিহত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পারিবারের সদস্যদের নেটওয়ার্ক ‘মায়ের কান্না’র প্রতিনিধিদের এই আশ্বাস দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আমেরিকান ক্লাবে নির্ধারিত বৈঠকে ‘মায়ের কান্না’র একটি প্রতিনিধিদল তার সাথে দেখা করেন। তারা সোফিয়ার কাছে এই হত্যাকান্ড ও নির্যাতন সংক্রান্ত নথিপত্র হস্তান্তর করেন, যা প্রমাণ দেয়, সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর বহু সদস্যকে তথাকথিত বিচারের আগেই মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল। অক্টোবরে তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল কিন্তু নথি অনুযায়ী তাদের দোষী সাব্যস্ত ও কারাগারে থাকার কথা জানিয়ে পরিবারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল ডিসেম্বরে। 'মায়ের কান্না'র প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
'মায়ের কান্না'র আহ্বাক কামরুজ্জামান লেলিন মার্কিন মানবাধিকার কর্মকর্তাকে জানান, 'তৎকালীন সামরিক শাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এই জঘন্য অপরাধের 'মাস্টারমাইন্ড' এবং সেই বিএনপিই এখনো ন্যায়বিচারের পথে প্রধান বাধা।'
নথি গ্রহণ ও প্রতিনিধি দলের দুর্ভোগের কারণ শোনার জন্য মার্কিন দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান নেটওয়ার্ক প্রতিনিধিরা।
সোফিয়া তার সঙ্গে দেখা করতে আসার জন্য প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানান। 'মায়ের কান্না' সদস্যরা বার বার চাপা পড়ে যাওয়া তাদের নিপীড়িত অশ্রুত কণ্ঠের ন্যায়বিচারের দাবি সম্ভব সব রকম উপায়ে এবং সব জায়গায় উত্থাপন করার জন্য মার্কিন সরকারকে অনুরোধ করে।
বৈঠকে 'মায়ের কান্না'র আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেলিনের সাথে বিলকিস চৌধুরী, নেটওয়ার্কের আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার প্রশান্ত বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।