Bangladesh
রোহিঙ্গাঃ মানবিকতার মুখ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঠিক একজন মা যেমন নিজের সন্তানের সমস্যাগুলিকে বুঝতে পারেন।
ঠিক সেইভাবে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন হাসিনা।
মিয়ানমার থেকে নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা লক্ষ্য লক্ষ্য রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আজ উনি সাময়িক স্থান দিয়েছেন নিজের দেশে।
বিদেশ সফর থেকে বাংলাদেশে ফিরে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বলেছেন যে ওনার দেশ রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনও তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বব্যাপী এই সমস্যা নিরসনের জন্য বিভিন্ন আলোচনা চলছে।
হাসিনার দল আওয়ামী লীগ নেত্রীকে মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর সাহসী সিদ্ধান্ত এবং এই সঙ্কটের প্রতি বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণের জন্য সংবর্ধনা দেন।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে, হাসিনা গত ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতায় রোহিঙ্গা সঙ্কট অবসানে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
১৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছিলেন হাসিনা।
সেখানে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেন উনি।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে কিছুদিন আগে এই মানুষদের অবস্থা দেখতে গেছিলেন হাসিনা।
সেই সময় এই কথাগুলি উনি বলেছেন।
" ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা আপনাদের আশ্রয় দিয়েছি। আমরা আপনাদের পাশে থাকব," হাসিনা বলেন।
হাসিনা রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করেছেন।
এই গেল মানবিকতার দিক।অন্যদিকে, মিয়ানমার এই মানুষদের যাতে সম্মান দেন সেই পদক্ষেপ ও নিচ্ছে হাসিনা সরকার।
হাসিনা সেপ্টেম্বর ৭ তারিখে দেশের মানুষকে বলেন যে মিয়ানমার থেকে এই দেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার জন্য সেই দেশকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এই দেশে এসেছিলেন রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখতে।
হাসিনা নিজের বক্তব্যে বলেছেনঃ "এই যে একেকটা ঘটনা ঘটছে, আর মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে আশ্রয়ের আশায় ছুটে আসছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি তাদের সহযোগিতা করতে।"
"সাথে সাথে আমরা মিয়ানমার সরকারকেও চাপ দিচ্ছি," লোক ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে হাসিনা বলেন।
হাসিনা বলেন বাংলাদেশ চায় যে মিয়ানমার যেন নিজের দেশের মানুষদের ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে আছেন।
বাংলাদেশ বহুবার মিয়ানমার সরকারকে এই মানুষদের ফিরিয়ে নিতে আহ্বান করলেও তাতে সারা দেয়নি।
রাখাইনে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে বহু রোহিঙ্গা মুসলিমেরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
তবে, এই সমস্যা মেটানোর জন্য যে লড়াইয়ে যে হাসিনা আরও একবার নিজের নেতৃত্বের ক্ষমতা দেখিয়েছেন তা বোঝা যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওনার সরকারকে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সমালোচনা মুখর তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতা অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আনু মুহাম্মদ ফেসবুকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেনঃ "রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এখন সঠিক অবস্থান নিয়েছেন বলে তাকে ধন্যবাদ জানাই।”
"আশা করি, তিনি দেশের ভেতরের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিষয়েও একই রকম সংবেদনশীল ভূমিকা গ্রহণ করবেন, নানা বাহিনীর গুম-খুন-আটক বাণিজ্য বন্ধ করবেন এবং দেশকে রক্ষা করতে রামপালসহ সুন্দরবনবিনাশী সকল প্রকল্প অবিলম্বে বাতিল করবেন," উনি আরও বলেন।