বিএনপির সমাবেশ

সংগৃহিত বিএনপির সমাবেশ থেকে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়

বিএনপির সমাবেশ লন্ডভন্ড

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ শুরু করে বিএনপি। এদিন দুপুর দেড়টার দিকে কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এ মহাসমাবেশের আয়োজন করে।

এর আগে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ অভিযোগ করেন শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি নিয়ে বিএনপি পুলিশের ওপর হামলা করছে।

শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে প্রধান বিচারপতি বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ অভিযোগ করেন ডিবি প্রধান। তিনি বলেন, সমাবেশগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে করার কথা, ডিএমপি কমিশনারের কাছ থেকে তারা এমন শর্তেই অনুমতি নিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর আমরা তাদের সরিয়ে দিই। পরে তারা আইডিইবি ভবনে আগুন দেয়, চিফ জাস্টিজের ভবনে ভাঙচুর করে। আমরা সেখান থেকেও তাদের সরিয়ে দিয়েছি।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সরকারি ভবনে আগুন-বাসে আগুন– যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে রাজধানীর পল্টনে মুখোমুখি অবস্থান নেয় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিজয়নগর পানির ট্যাংকির কাছে টায়ারে আগুন লাগিয়ে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন বিএনপি কর্মীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। শনিবার দুপুর ২টার পর পল্টন-বিজয়নগর এলাকায় দেখা যায় এমন চিত্র।

এছাড়া, কাকরাইলে বিএনপি-পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন দেওয়া হয়েছে। কাকরাইল অডিট ভবনের সামনে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।