Bangladesh
আমরা শান্তিকামী জাতি, কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১২ জুলাই ২০২৩: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। আমাদের নৌবাহিনীর প্রয়োজন পড়ে আমাদেরকেই রক্ষা করার জন্য, সাইক্লোন মোকাবিলা করার জন্য। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা শান্তিকামী জাতি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু আত্মরক্ষা করার মতো ক্ষমতাও আমাদের থাকা দরকার।’
বুধবার নৌবাহিনীর নবনির্মিত ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা, ৪১ পিসিএস-এর চারটি জাহাজ এবং চারটি এলসিইউ-এর কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আয়োজিত এ কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৪ সালের ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণ থেকে উদ্বৃত করে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আসলেই কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব যেন সুরক্ষিত থাকে, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি। এ কারণে নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীকে সার্বিকভাবে উন্নত সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছি। যেন আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্পন্ন ও দক্ষ হয়ে ওঠে। সেদিকে আমরা বিশেষভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি।’
নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ফোর্সেস গোল-২০৩০ অনুযায়ী নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নৌবহরে অ্যাভিয়েশান ও সাবমেরিন সংযোজন করে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিশ্ব দরবারে আজ ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ, গড়ে তোলা হয়েছে হেলিকপ্টার ও টহল বিমান সমৃদ্ধ নেভাল অ্যাভিয়েশন এবং বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডস। সমুদ্রে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে হেলিকপ্টার ছাড়াও একাধিক যুদ্ধ জাহাজ এবং সরঞ্জামাদি ক্রয় ও নির্মাণের কার্যক্রম চলমান।
নিজেদের জাহাজ তৈরির সক্ষমতার কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, আজকে আমরা নিজেদের জাহাজ নিজেরা তৈরি করতে পেরেছি। আমরা চাই, আমাদের দেশ আরও এগিয়ে যাক। আমাদের নৌবাহিনী এখন অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘বায়ার নেভি’ (ক্রেতা) থেকে ‘বিল্ডার নেভি’তে (নির্মাতা) পরিণত হয়েছে।
দেশকে আরও সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, এটুকু দাবি করতে পারি, ২০০৯ সালে সরকারে আসার পর এই ২০২৩ সাল; আজকের বাংলাদেশ বদলে গেছে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।