Bangladesh
মার্কিন নতুন ভিসা নীতি নিয়ে আমরা চাপে নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ মে ২০২৩ : বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন যে ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছে, তা নিয়ে সরকার কোনো চাপে নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
নতুন ভিসানীতি নিয়ে সরকার চাপে আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এসব নিয়ে কোনো চাপে নেই। আমাদের কোনো ব্যর্থতা নাই। বরং আমরা যা যা চাচ্ছি, সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য যে ভিসানীতি করেছে, তাতে আমরা আশা করছি- আমরা যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই, বিশেষ করে; আমরা জ্বালাও-পোড়াও চাই না, এটাতে সাহায্য করবে। তাদের এ কারণে (ভিসানীতি) হয়তো যারা জ্বালাও-পোড়াও করে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করে তারা হয়তো তার প্রেক্ষিতে বিরত থাকব। তবে আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত নই।’
নতুন ভিসানীতি আমরা গ্রহণ করেছি কি না, জানতো চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের নীতি আমি রিজেক্ট (বাতিল) করবো কেন? আমাদের যেগুলো অঙ্গীকার, আমরা যেটি চাই তাদের পলিসিতে সেটিরই পুনরাবৃত্তি হয়েছে। আমাদের কোনো অস্বস্তি নেই। তারা করেছেন তাদের নিয়মে। এটি যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করে, তাহলে ভালো। তবে আমি নিশ্চিত নই। কারণ এটার কোনো পরীক্ষা আগে হয়নি।’
নতুন ভিসানীতি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো কি না, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সেটা আপনারা যেভাবে বিশ্লেষণ করেন। তাদের একটা ভাবনা হচ্ছে, বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রের যাতে উন্নয়ন হয়, সেটি করা। তারা চেষ্টা করুক। তাদের দেশেও তো নির্বাচনী ঝামেলায় মানুষ মারা গেছেন। আমেরিকার ৭৫ ভাগ রিপাবলিকান মনে করেন গত নির্বাচনে ভোট কারচুপি হয়েছে। সর্বদলীয় ৭৭ শতাংশ মানুষ মনে করে তাদের নির্বাচনে দুর্বলতা আছে। কোনো দেশেরই নির্বাচন পারফেক্ট না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চেয়েছি, এ ভিসানীতি অন্য দেশে পরীক্ষিত হয়েছে কি না। তিনি জানিয়েছেন, এটি পরীক্ষিত হয়নি, এটা তাদের নতুন নীতি। তারা আশা করে, এটা বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হবে। তারা নাইজেরিয়া, সোমালিয়াসহ কয়েকটি দেশে করেছে। এটি তাদের একটু নতুন প্রচেষ্টা। এর ফলে কোথাও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে কি না জানতে চেয়েছিলাম। তিনি (রাষ্ট্রদূত) বলেছেন, এটা এখন বলা যাবে না।’