Column

বহু প্রশংসিত শেখ হাসিনা
২০১৯ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর দি ইউনাইটেড নেশনস ইমার্জেন্সি ফান্ড (ইউনিসেফ) যুবসম্প্রদায়ের কর্মদক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশের বিশাল সাফল্যের জন্য 'চ্যাম্পিয়ন অফ স্কিল ডেভলপমেন্ট ফর ইয়ুথ' পুরস্কার প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
২০১৯ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মর্যাদামন্ডিত 'ভ্যাকসিন হিরো' পুরস্কার পান শিশুদের টিকাকরণে অসামান্য সাফলের স্বীকৃতি হিসেবে।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ এবং পারস্পরিকভাবে সন্তোষজনক সম্পর্ক গড়ে তোলার কাজে তাঁর প্রতিশুরতিবদ্ধতার জন্য ২০১৯ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর ডঃ কামাল স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছিল শেখ হাসিনাকে।
নারী ক্ষমতায়ন এবং সেই সাথে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে গতিশীল নেতৃত্বদানে অবদানের জন্য ২০১৯ সালের ৮ই মার্চ জীবনকৃতি সম্মানে সম্মানিত হন শেখ হাসিনা।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সালে দি ইন্টার প্রেস সার্ভিস নিউজ এজেন্সি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে দশ লক্ষের বেশি রোহিঙ্গিয়া শরনার্থীকে আশ্রয় দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক মানবিক সাড়া দেওয়ার জন্য।
রোহিঙ্গিয়া সংকটে 'দূরদর্শী নেতৃত্ব' প্রদানের জন্য নিউ ইয়র্ক- কেন্দ্রিক গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন ২০১৮ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর মাসে 'স্পেশাল রেকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড' পুরস্কারে সম্মানিত করে শেখ হাসিনাকে।
২০১৮ সালের ২৭শে এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রহণ করেন গ্লোবাল উইমেনস লিডারশীপ পুরস্কার। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রভাবশালী এবং জনমত গঠনে অগ্রণী মহিলাদের এক বার্ষিক আন্তর্জাতিক সমাবেশে এই পুরস্কার দেওয়া হয় তাঁকে বাংলাদেশ, এশিয়া এবং এশিয়া - প্যাসিফিক অঞ্চলে নারী শিক্ষা এবং নারীদের মধ্যে ব্যবসায়ের উদ্যোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অসাধারণ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য।
নারী ক্ষমতায়নে অসাধারণ নেতৃত্ব প্রদানের জন্য গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম ২০১৬ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাকে 'এজেন্ট অফ চেঞ্জ' পুরস্কারে ভূষিত করে। এই পুরস্কারে গ্রহণ করার সময় শেখ হাসিনা বলেন, এই সম্মান বাংলাদেশের মহিলাদেরই সম্মান, কারণ পরিবর্তনের প্রকৃত প্রতিনিধি তাঁরাই।
২০১৬, ২১শে সেপ্টেম্বর তারিখে ইউ এন -উইমেন শেখ হাসিনাকে 'প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন' স্বীকৃতি প্রদান করে নারী ক্ষমতায়নে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য। রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরের ইউ এন প্লাজাতে একটি উচ্চমার্গের অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হয় তাঁকে।
২০১৫ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর দি ইউনাইটেড নেশনস এনভারনমেন্টাল প্রোগ্রাম শেখ হাসিনাকে 'চ্যাম্পিয়ন অফ দি আর্থ' পুরস্কারের অন্যতম প্রাপক হিসেবে ঘোষণা করে। এই পুরস্কার দেওয়া হয় 'পলিসি লিডারশীপ' বিভাগে। ব্যক্তি এবং সংস্থাকে পরিবেশ বিষয়ক যে সব সম্মান রাষ্ট্রসংঘ দিয়ে থাকে, সেগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ এই পুরস্কার। পরিবেশ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সামনে থাকা একজন অসাধারণ নেত্রী বলে শেখ হাসিনাকে অভিহিত করে ইউ এন ই পি।
শেখ হাসিনা পেয়েছেন 'আই সি টি সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড'। ২০১৫ সালের ২৮ শে সেপ্টম্বরে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমুনিকেশন ইউনিয়নের পক্ষ থেকে। দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে তথ্যযোগাযোগের সংগে প্রযুক্তিকে যুক্ত করার জন্য এই সম্মান।
২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে শেখ হাসিনা ইউনাইটেড নেশনসের 'সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন ভিশনারি' পুরষ্কার পান। তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ঘটান, তৃনমূল স্তরে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করা, সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজের দুর্গত মানুষদের অবস্থার উন্নতি করা এবং দারিদ্র অপনয়নে তাঁর অবদানের জন্য এই পুরস্কার পান শেখ হাসিনা।
সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৪ সালে ইউনেস্কোর তরফ থেকে 'ট্রি অফ পিস' পুরস্কার পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই স্মারক দেওয়া হয়েছিল মেয়েদের এবং মহিলাদের শিক্ষার জন্য তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য। তাঁর হাতে এই স্মারক তুলে দেওয়ার সময় ইউনেস্কোর ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, বিশ্বমঞ্চে শেখ হাসিনা নারীশিক্ষার এক জোরাল প্রবক্তা। এই ধরণের সওয়াল নারীদের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের এক আবশ্যিক পূর্বশর্ত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ৮ই জুন রোটারি ইন্টারন্যাশনালের ডিসট্রিক্ট ৩২৮০-র প্লাটিনাম জুবিলিতে রোটারি ইন্টারন্যাশনালের তরফ থেকে পেয়েছেন রোটারি পিস পুরস্কার। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তির প্রসারে অবদান রাখার জন্য দেওয়া হয়েছিল এই পুরস্কার।
২০১৫ সালে নির্ধারিত সময়সীমার আগেই বাংলাদেশে ক্ষুধার প্রকোপ অর্ধেকে নামিয়ে আনার জন্য ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (ফাও) ডিরেক্টর জেনারেল জোস গ্রাজিয়ানো ডা সিলভা ২০১৩ সালের ১৩ই জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এই পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন।
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১১- ইউ এন ইকনমিক কমিশন ফর আফ্রিকা, পার্মানেন্ট মিশন অফ অ্যাট অ্যান্ড বারবুডা টু দ্য ইউনাইটেড নেশনস, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমুনিকেশন ইউনিয়ন এবং সাউথ-সাউথ নিউজ যৌথভাবে নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার হাতে সাউথ- সাউথ পুরস্কার তুলে দেয় তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তিকে উদ্ভাবনের মাধ্যমে নারী এবং শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহারের জন্য।
বাংলাদেশে শিশু মৃত্যু হার পঞ্চাশ শতাংশ কমিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ৯ই সেপ্টেম্বরে 'ইউনাইটেড নেশন'স মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এম ডি জি) অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান।
তিনি 'ইন্দিরা গান্ধি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর পিস, ডিসআর্মামেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পেয়েছেন ২০১০ সালের ১২ই জানুয়ারি।
গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অফ ভ্যাকসিনস অ্যানড ইমিউনাইজেশন বাংলাদেশকে রোগপ্রতিরোধকরন অভিযানের ক্ষেত্রে ছ'টি জনবহুল দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে সেরা নির্বাচিত করে তাদের সহায়তার যোগ্য বিবেচনা করে। গত চার বছরে টিকা না দেওয়া শিশুদের সংখ্যা ৫২ শতাংশ কমিয়ে আনতে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ এবং একে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে বর্ননা করা হচ্ছে।
২০০৬ সালের ২৫শে জুন শেখ হাসিনা মাদার টেরিজা লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান জনজীবনে তাঁর তুলনাহীন অবদানের জন্য। এই পুরস্কারটি দিয়ে থাকে মাদার টেরিজা ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড মিলেনিয়াম অ্যাওয়ার্ড কমিটি।
এপ্রিল ৯, ২০০০ তারিখে শেখ হাসিনা পার্ল এস বাক পুরস্কার পেয়েছিলেন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকে এবং মানবিক ক্ষেত্রে তাঁর দূরদৃষ্টি, সাহস এবং সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে। এই পুরস্কারটি প্রবর্তন করে আমেরিকার র্যান্ডলফ ম্যাকন উইমেনস কলেজ।
দারিদ্র্য এবং ক্ষুধার বিরুদ্ধে তাঁর অসাধারণ সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসাবে ১৯৯৯ সালের ২২ শে অগাস্ট ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশের কাছ থেকে সম্মানজনক সি ই আর ই এস মেডাল পেয়ছিলেন শেখ হাসিনা।
তিনি ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কোর হুফোয়ে-বয়নি শান্তি পুরষ্কারও পেয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে চলা সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে রাজনৈতিক সাহস প্রদর্শন এবং রাজনীতির ঊর্দ্ধে ওঠা নেতৃত্ব দানের জন্য শেখ হাসিনাকে দেওয়া হয়েছিল এই সম্মান।
১৯৮৮ সালের ১২ই এপ্রিল দি অল ইন্ডিয়া পিস কাউন্সিল শেখ হাসিনাকে মাদার টেরিজা পুরস্কার প্রদান করে।
নরওয়ের অসলোর এম কে গান্ধি ফাউন্ডেশন ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনাকে 'এম কে গান্ধি অ্যাওয়ার্ড' দেয় বাংলাদেশের তৃনমূল স্তরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, বোঝাপড়া, অহিংসা এবং গণতন্ত্রের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য।