Entertainment
তালতলায় চিরনিন্দ্রায় ফকির আলমগীর
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৪ জুলাই ২০২১: রাজধানীর খিলগাঁও তালতলার সঙ্গে ফকির আলমগীরের জীবনের অসংখ্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আর সেখানেই চিরনিন্দ্রায় শায়িত হলেন দেশ বরেণ্য এই গণসংগীতশিল্পী। আজ শনিবার (২৪ জুলাই) বাদ যোহর দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে খিলগাঁও মাটির মসজিদে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এই দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান, ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব।
এর আগে সকাল ১১টা ১৬ মিনিটে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের পল্লীমা সংসদ প্রাঙ্গণে ফকির আলমগীরের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর দুপুর পৌনে ১২টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য তার মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
ফকির আলমগীরের জন্ম ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে। কালামৃধা হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। জগন্নাথ কলেজ (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রিলাভ লাভ করেন।
ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে তিনি ষাটের দশক থেকেই সরব হয়ে ওঠেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আগে যেসব বড় আন্দোলন হয়েছিল, সেগুলোতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন ফকির। তার কণ্ঠ বজ্র হয়ে বেজেছিল আন্দোলনের মিছিলে।
এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে ফকির আলমগীর যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। কণ্ঠসৈনিক হিসেবে তিনি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের মনে ছড়িয়ে দেন বিজয়ের স্পৃহা, সাহসের আলো।
দেশ স্বাধীনের পর পূর্ণাঙ্গভাবে সংগীতে মননিবেশ করেন ফকির আলমগীর। নিজেই গড়ে তোলেন ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী।