নোবেল

ফাইল ছবি

মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন নোবেল

বাদীর সঙ্গে আপস করে অনুষ্ঠানে গান পাওয়ার জন্য অগ্রিম নেওয়া টাকা বুঝিয়ে দেন তিনি। পরে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় নোবেলকে জামিন দেন আদালত।

এক দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার নোবেলকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক হুমায়ুন কবির তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এসময় মামলার বাদী সাফায়েত ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

প্রতারণার অভিযোগে গত ১৬ মে রাজধানীর মতিঝিল থানায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরদিন গত ১৭ মে আদালত এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মোট এক লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তবে নোবেল অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করেন।

ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর নোবেল তার সব দোষ স্বীকার করে নেন। একইসঙ্গে নিজের স্ত্রীর ওপর করা নির্যাতন এবং টাকা নিয়েও বিভিন্ন শোতে অংশ না নেয়ার ঘটনায় দোষ স্বীকারের পাশাপাশি অনুতাপ প্রকাশ করেন নোবেল। রিমান্ডে নোবেল তার ভুল স্বীকারের পাশাপাশি এসব ঘটনায় দুঃখ প্রকাশও করেছেন।

তিনি বলেন, উশৃঙ্খল জীবনে অভ্যস্ত হয়ে স্ত্রীকেও মারধর করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে নোবেল। বিভিন্ন জায়গায় প্রোগ্রাম করতে গিয়ে অতিরিক্ত মদ্যপান করে মাতাল অবস্থায় মঞ্চ ভেঙে ফেলে। তার জীবনে অধঃপতন নেমে এসেছে। তাকে প্রতিদিন মদপান করতে হয়। প্রতিদিন ৩-৪টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতে হয়। সে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে, অন্য শিল্পীদের কাছ থেকে মদ্যপান, গাঁজা ও ইয়াবা সেবন শিখেছে। আমরা তার কথায় বুঝতে পারি, সে এসব কারণে সারাদিন ঘুমায়। ঘুমের কারণে টাকা নিয়ে প্রোগ্রাম করতে যেতে পারে না।

এদিকে, নোবেলের সাবেক স্ত্রী সালসাবিল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন যা করবে সেটাই তিনি মেনে নেবেন।