Finance
পাঁচ প্রকল্পে বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৯ নভেম্বর ২০২৩ : বাংলাদেশের পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি করেছে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার) ঋণ দেবে এডিবি। মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এডিবির এ ঋণ চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং চুক্তিতে সই করেন।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, মোট ঋণের মধ্যে এডিবি ৭২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার দেবে মার্কিন ডলারে। বাকি ৩০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ২৭ কোটি ৭৮ লাখ ইউরোতে পাবে বাংলাদেশ। যে পাঁচ প্রকল্পে বিলিয়ন ডলারের এই ঋণ দেওয়া হবে সেগুলো হলো- ‘স্মার্ট মিটারিং এনার্জি এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট’ প্রকল্প; ‘ভ্যাকসিন, থেরাপেটিকস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড রেগুলেটরি স্ট্রেন্থেনিং’ প্রকল্প; ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শহুরে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন’ প্রকল্প; ‘দ্বিতীয় দক্ষিণ এশিয়া উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ঢাকা-উত্তর-পশ্চিম করিডোর সড়ক’ প্রকল্প এবং ‘ইম্প্রুভিং কম্পিউটার অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টারশিয়ারি এডুকেশন’ প্রকল্প।
এরমধ্যে ‘স্মার্ট মিটারিং এনার্জি এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট’ প্রকল্পে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি। সংস্থাটির এই ঋণে বাংলাদেশকে স্মার্ট মিটারিংয়ের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি ক্লিন এনার্জি সলিউশনে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করবে। এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি এবং নারায়ণগঞ্জে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার স্মার্ট প্রিপেইড গ্যাস মিটারের সংযোগ দেওয়া হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে বছরে প্রায় ৪ লাখ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করবে।
‘ভ্যাকসিন, থেরাপেটিকস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড রেগুলেটরি স্ট্রেন্থেনিং’ প্রকল্পে ৩৩ দশমিক ৬৫ কোটি ডলার দেবে এডিবি। এই ঋণে সরকার দেশীয় ভ্যাকসিন, থেরাপিউটিকস এবং ডায়াগনস্টিকস উৎপাদন ক্ষমতা স্থাপন করবে। এছাড়া ভ্যাকসিন সরবরাহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় নিয়ন্ত্রককে শক্তিশালী করা হবে। গোপালগঞ্জে এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) বিদ্যমান অবস্থানে একটি ভ্যাকসিন, থেরাপিউটিক এবং ডায়াগনস্টিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটি ও গুদামজাতকরণ ইউনিট স্থাপন করা হবে। যেখান থেকে বছরে ৫৮ মিলিয়ন ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা সৃষ্টি হবে।