Finance
দেশের অর্থনীতি গতিশীল ও নিরাপদ: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৫নভেম্বর ২০২২ : করোনা মহামারি এবং পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বব্যাপী যে মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা থেকে উত্তরণে সরকার যথেষ্ট সজাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, মন্দা থেকে যেন আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারি সে বিষয়ে সজাগ আছি। আমাদের অর্থনীতি এখনো গতিশীল আছে, নিরাপদ আছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) যশোরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) একাডেমিতে কুচকাওয়াজে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে দেশে কোনো রিজার্ভ মানি ছিল না, কারেন্সি নোট ছিল না, রাস্তাঘাট, ব্রিজ সব ছিল ধ্বংসপ্রাপ্ত। তাছাড়া একটি প্রদেশ, তাকে রাষ্ট্রে উন্নীত করা এবং তার উপযুক্ত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তিনি অতি দ্রুত করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্বাসন করে পুনর্গঠন করে তিনি অর্থনৈতিক মুক্তির পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, আমাদের কিছুই ছিল না। তারপরও বন্ধুপ্রতীম দেশের সহযোগিতা নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিমান বাহিনী গড়ে তোলেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর বিশেষ অবদান রয়েছে। যারা জীবন দিয়েছেন তাদের আমি শ্রদ্ধা জানাই। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশে বারবার ক্যু হয়েছে, বিমান বাহিনীর প্রায় ৬০০ অফিসার ও সৈনিককে হত্যার করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নানা ঘটনা ঘটে। সরকারে আসার পর বিমান বাহিনীকে আবার নতুনভাবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিই। মিগ-২৯ প্রথম কিনে দিই।
বিমান বাহিনীকে নতুনভাবে আবার গড়ে তুলি। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার সরকারে এসে বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন, অপরেশনাল সক্ষমতার বাড়ানোর লক্ষ্যে এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান সংযোজনসহ নানা পদক্ষেপ আমরা নিই। বিমান বাহিনী বর্তমানে অত্যন্ত চৌকস ও দক্ষ। শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের বিমান বাহিনী অত্যন্ত চমৎকার ভূমিকা পালন করছে। আমরা সেজন্য গর্বিত।
প্রতিষ্ঠান এবং বাহিনী প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হবে আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমাদের দেশে অন্যান্য দেশ থেকে এসেও ট্রেনিং নিচ্ছে। যেমন নেপাল, ফিলিস্তিন, জাম্বিয়ার অফিসাররা এখানে এসেছেন। নবীন কর্মকর্তাদের বলবো, আমাদের সরকার সবসময় দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা দিয়ে বিমান বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি।