Finance

অর্থবছর ২০২৪ বাজেট অবাস্তব: জিএম কাদের
ঢাকা, ১ জুন ২০২৩: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে অবাস্তব ও নির্বাচনমুখী আখ্যায়িত করে বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনগণের ভোগান্তি লাঘবে এর ভিশনের অভাব রয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নির্বাচনমুখী বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা মনে করি না এটি বাস্তবসম্মত বাজেট। আমরাও মনে করি, এই বাজেট কার্যকর হবে না।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা ওবায়দুল কাদের সংসদ ভবনের বাইরে বাজেট নিয়ে দলের অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যখন সমগ্র বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েছে এবং বাংলাদেশের জনগণ মারাত্মক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন সরকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে, যদিও এটি গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। আমি মনে করি না যে সরকার এত বড় আকারের রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে।
জাতীয় পার্টি প্রধান বলেন, বাজেট মূলত দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, 'বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার যখন ইচ্ছুক তখন স্থানীয় ও বহিরাগত উৎস থেকে ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সুতরাং শেষ পর্যন্ত বাজেট কার্যকর হবে না।
তিনি বলেন, সরকার কিছু পণ্যের উপর প্রত্যক্ষ কর আরোপ করেছে এবং সাধারণ মানুষ এবং মধ্যবিত্তদের দ্বারা ব্যবহৃত সমস্ত পণ্যের উপর পরোক্ষ কর আরোপ করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এবং মানুষের আয় কমে যাওয়া বিবেচনায় বাজেটে দৃশ্যমান কোনো জনবান্ধব উদ্যোগ নেই। তিনি বলেন, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের বেঁচে থাকা এবং তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করার কোনো বিধান বাজেটে নেই। তাই এটাকে আমরা জনবান্ধব বাজেট বলতে পারি না। এটা গণমুখী বাজেট নয়।
তিনি সরকারের পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধিরও বিরোধিতা করেছিলেন কারণ তার দল মনে করে যে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে কৃপণতা অনুশীলনের মাধ্যমে এটি হ্রাস করা যেতে পারে।
নির্বাচনের বছরে পরিচালন ব্যয় বাড়িয়ে সরকার সুবিধা নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। আমি মনে করি, জনগণের টাকা দিয়ে নির্বাচনী বাধা অতিক্রম করা একটি নীতি হতে পারে।