Finance
![রাজধানীতে কমেছে মুরগি, ডিম ও সব্জির দাম রাজধানীতে কমেছে মুরগি, ডিম ও সব্জির দাম](https://www.bangladeshlivenews.com/news_pic/2018/_72505579_72505578 (1)-1535774672.jpg)
রাজধানীতে কমেছে মুরগি, ডিম ও সব্জির দাম
শুক্রবার ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় বেড়েছে। ফলে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে অধিকাংশ কাঁচাবাজার। তবে ক্রেতা-বিক্রেতার পাশাপাশি সবজির সরবরাহ বাড়লেও বিক্রি খুব একটা বাড়েনি।
বাজারে সাদা বয়লার মুরগি ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে ১৫০-১৬০ কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
ঈদের আগে ২৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজিতে। আর ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা ডজন, যা ঈদের আগে ১০০ টাকার বেশি ছিল। মুরগির দাম কমার বিষয়ে জানা যায়, ঈদের আগে সাদা বয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজিতে। এখন সেই মুরগি ১২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ মানুষের বাসায় ফ্রিজে কোরবানির মাংস মজুদ রয়েছে। ফলে মুরগির চাহিদা অনেক কম।
এ জন্যই দাম কিছুটা কমেছে। অপরদিকে ঈদের আগে ডিমের ডজন ছিল ১১০ টাকায়। এখন ৯০ টাকা। ঈদের পর ডিমের চাহিদা কিছুটা কমেছে। ফলে দামও কিছুটা কম।
কাঁচাবাজারে অধিকাংশ সবজি ৩০-৪০ টাকা কেজির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের আগের মতো এখনো শিম, টমেটো, গাজর, ফুলকপি ও পাতাকপি চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে শীতের আগাম সবজি শিম। বাজার ও মানভেদে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ১২০-১৪০ টাকা। বাজারে ১০০ টাকা বা তার থেকে বেশি দামে বিক্রি হওয়া আর একটি সবজি পাকা টমেটো। বাজার ও মানভেদে এ সবজিটি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি। ঈদের আগেও একই দাম ছিল।
চড়া দামে বিক্রি হওয়া আর এক সবজি গাজর, যা ৮০-১০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ছোট আকারের প্রতিপিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। আর পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা পিস। ঈদের আগে চড়া দামে বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম সব থেকে বেশি কমেছে।
মান ও বাজারভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ৬০-৮০ টাকা।
এছাড়া দাম কমার তালিকায় রয়েছে- উস্তে, বরবটি, কাকরল, করলা, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, ঢেঁড়স, লাউ। বাজার ভেদে উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। ঈদের আগে ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি।