Finance
দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ : দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে আসার পাশাপাশি রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স বেড়ে যাওয়ায় অর্থনীতি ফের গতিশীল হচ্ছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছিল তা ধীরে ধীরে প্রশমিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আগামী সাড়ে ৫ মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অন্তত ৪ বিলিয়ন ডলার বাড়বে। আগামী জুন মাসে এই রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়াবে সাড়ে ৩৬ বিলিয়ন ডলারে। বর্তমানে রিজার্ভ আছে ৩২ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, অর্থনীতির বেশ কিছু সূচকে উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যে টার্গেট নির্ধারণ করেছে তাতে জুনে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়াবে সাড়ে ৩৬ বিলিয়ন ডলার। তিনি বলেন, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। রফতানি আয় বেড়েই চলেছে। রেমিট্যান্সও বেড়ে গেছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের টার্গেট অনুযায়ী আগামী জুন মাস নাগাদ রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হতে পারে সাড়ে সাত শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ ৫৩ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারে। এছাড়া জুন মাসে রেমিট্যান্স ৪ শতাংশ বেড়ে চলতি অর্থবছরে প্রবাসী আয় ২৩ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারে। এছাড়া এই অর্থবছরে আমদানি হতে পারে ৮০ বিলিয়ন ডলার।
প্রসঙ্গত, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে ফের সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের মতো নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতেও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকে উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন এই ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য অনুযায়ী, চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ১৩ দিনে (১ থেকে ১৩ জানুয়ারি) প্রায় ৯৩ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন করোনায় আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এখন যে পরিস্থিতি রয়েছে, এর চেয়ে আর খারাপ হবে না। তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের অর্থনীতির যে সহনশীলতা, তা কোনও একটা ধাক্কায় পড়ে যাবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেওয়ার পর আমদানি কমাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। বেশি দামে ঋণপত্র যেন খোলা না হয়, সে জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। এসব পদক্ষেপের ফলে আমদানি কমেছে।