Finance
আমদানি কমায় নিস্তেজ হচ্ছে ডলার
ঢাকা, ৩১ জুলাই ২০২২ : মার্কিন ডলারের সংকট কাটাতে বিলাসী পণ্যসহ সার্বিক আমদানিতে নানা শর্ত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার সুফল আসতে শুরু করেছে।
কমেছে আমদানির এলসি (লেটার অব ক্রেডিট বা ঋণপত্র) খোলার পরিমাণ। যার প্রভাব পড়ছে ডলারের বাজারে।
বিশ্বে মহামারি করোনার থাবার রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ফলে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা ডলারের মূলে তেজিভাব দেখা যাচ্ছে। আমদানি বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতির কারণে দেশের বাজারেও মার্কিনি এই মুদ্রার দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু শর্তারোপের কারণে কমতে শুরু করেছে আমদানি। ডলারে যার প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুনে আমদানির জন্য এলসি খোলার মোট মূল্য পরিশোধের হার প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। গত জুনে ৭৩৮ কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্য আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। আগের মাস মে-তে যার পরিমাণ ছিল ৮২০ কোটি ডলার। অবশ্য জুনে এলসি নিষ্পত্তি প্রায় ১৮ শতাংশ বেড়ে ৮৫৫ কোটি ডলারে ওঠে। জুনে নিষ্পত্তি হওয়া এলসির বড় অংশ আগে খোলা। আর এলসি খোলা কমে যাওয়ার মানে নিকট ভবিষ্যতে আমদানি ব্যয় কমবে।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জুলাইয়ে আমদানি মূল্য হ্রাসের হার কমতে পারে প্রায় ২৫ শতাংশ। সূত্র জানায়, জুনের চেয়ে এলসি আরও কমেছে জুলাইয়ে। মূল্য বিবেচনায় ২৭ তারিখ পর্যন্ত কমার হার ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে এ সময় পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১৯০ কোটি ডলার। মাস শেষে রেমিট্যান্স ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। আগের মাস জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৪ কোটি ডলার। আগামী দুই মাসের মধ্যে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।